রাঙামাটিতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, ২০ স্থানে পাহাড়ধস
বাংলাদেশ

রাঙামাটিতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, ২০ স্থানে পাহাড়ধস

টানা বর্ষণে রাঙামাটির ২০টি স্থানে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। বৃহস্পতিবার সকালে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের বেশ কিছু জায়গায় পাহাড়ধসে প্রায় দুই ঘণ্টা সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। সড়ক বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সড়ক থেকে মাটি সরিয়ে যান চলাচল সচল করেন। তবে মহালছড়ি এলাকায় সড়কে পানি থাকায় বন্ধ রয়েছে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি আন্তজেলা যান চলাচল।

এদিকে, জেলার বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। নতুন করে আরও কয়েকটি এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। কাউখালী উপজেলার ইছামতি ও কাউখালী খালে পানি বেড়ে ডুবে গেছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২০টি ঘর।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার বলেন, ‘উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এখন পর্যন্ত ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে খোলা হয়েছে। সেগুলোতে সন্ধ্যা পর্যন্ত এক হাজার ৬৫৫ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে।’

পাহাড়ধসের ঝুঁকি এড়াতে জেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে শহরের শিমুলতলী, রূপনগরসহ বেশ কিছু এলাকায় মাইকিং করে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে অনুরোধ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন।

জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন জানান, জেলায় ছোট-বড় কয়েকটি পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটলেও কোথাও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। রাঙামাটি সদরে পাহাড়ধসে ঝুঁকিতে আছে এক হাজার ৩৬৬ মানুষ। প্রাণহানি এড়াতে জেলায় ৭৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে আনতে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে।

Source link

Related posts

শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড

News Desk

চট্টগ্রামে পাসপোর্ট অফিস থেকে ১১ দালাল গ্রেফতার

News Desk

সবার জন্য টিকা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘকে বাংলাদেশের আহ্বান

News Desk

Leave a Comment