যমুনায় পানি বাড়ছে
বাংলাদেশ

যমুনায় পানি বাড়ছে

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সিরাজগঞ্জের দুটি পয়েন্টেই বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে যমুনার চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যার শঙ্কায় আতঙ্কে দিন কাটছে নদীপাড়ের মানুষের। 

রবিবার (১৯ জুন) সকালে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন জানান, কাজিপুর পয়েন্টে গত ১২ ঘণ্টায় (১৮ জুন সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১৯ জুন সকাল ৬টা পর্যন্ত) ১১ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
 
তিনি আরও জানান, ১৮ জুন সন্ধ্যা ৬টায় কাজিপুর পয়েন্টে যমুনার পানির স্তর রেকর্ড করা হয়েছিল ১৫ দশমিক ৩৬ মিটার। বর্তমানে পানির স্তর রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৪৭ মিটার। এখানে পানির বিপৎসীমার স্তর ধরা হয় ১৫ দশমিক ২৫ মিটার। ফলে এই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতেও পানি বাড়ছে। এতে ধীরে ধীরে প্লাবিত হচ্ছে যমুনার চর ও নিম্নাঞ্চল। চরাঞ্চলের মানুষের মাঝে বন্যা ও ভাঙন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এসব এলাকায় পানিতে ডুবে ফসল নষ্ট হচ্ছে। 

পাউবোর পানি পরিমাপক হাসানুর রহমান জানান, সকালে শহরের হার্ড পয়েন্ট এলাকায় পানির স্তর রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৪৭ মিটার। এর আগে গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় পানির স্তর রেকর্ড করা হয়েছিল ১৩ দশমিক ৪১ মিটার। এখানে বিপৎসীমা ধরা হয় ১৩ দশমিক ৩৫ মিটার। ফলে এই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
 
তিনি আরও জানান, যেহেতু তিস্তায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে, ফলে যমুনায় আরও কয়েক দিন পানি বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে সিরাজগঞ্জে বন্যা হতে পারে।

গত প্রায় দেড় সপ্তাহ ধরে যমুনায় পানি বাড়ছে। এতে চরাঞ্চলের নিচু জমিগুলো তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। পাশাপাশি ফুলজোড়, করতোয়া, বড়াল, হুড়াসগর, ইছামতীসহ চলনবিলের নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। বিস্তীর্ণ ফসলি জমি প্লাবিত হওয়ায় কাঁচা পাট, তিল, কাউন, বাদাম ও শাকসবজিসহ বিভিন্ন ধরনের উঠতি ফসল নষ্ট হচ্ছে। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন কৃষকেরা।
 
যমুনায় পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার কাজিপুর, চৌহালী, এনায়েতপুর ও শাহজাদপুরের চরাঞ্চলে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
 
সিরাজগঞ্জ পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। দুটি পয়েন্টেই বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে নদীর তীরবর্তী এলাকায় বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে ভাঙনসহ যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রস্তুত আছে।

Source link

Related posts

বান্দরবানের পাহাড়ে ৩০ হাজার বসতি, ধসের শঙ্কা

News Desk

রমজানকে স্বাগত জানিয়ে ছাত্রলীগের মিছিল

News Desk

আয়াতকে হত্যার পর ৬ টুকরো, আবির আলী রিমান্ডে

News Desk

Leave a Comment