মৌলভীবাজার জেলার চায়ের দেশে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাতের ফলে মানুষের দুর্ভোগ বাড়লেও প্রাণ ফিরেছে চা শিল্পে। বুধবার বিকাল থেকে দেশের অন্যতম পর্যটন জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ইনচার্জ আনিসুর রহমান বলেন, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শ্রীমঙ্গলে ১১ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। চলতি শীত মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত বলে জানান তিনি।
হঠাৎ বৃষ্টির কারণে বিপাকে পড়েছেন শহরে আসা মানুষগুলো। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট বেড়েছে।
এদিকে শীতের তীব্রতা বাড়ায় চা বাগানে চা শ্রমিকসহ হাওর এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সদর হাসপাতালসহ জেলার সবকটি উপজেলায় ঠাণ্ডাজনিত কারণে শিশু থেকে নানা বয়সী রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিদিনই সর্দি-কাশি ও জ্বর নিয়ে রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
মৌলভীবাজার জেলায় ২৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১২৩ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। ফলে জেলায় করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার। নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৪৫ দশমিক ৭ শতাংশ।
শ্রীমঙ্গল ফিনলে টি কোম্পানির ভাড়াউড়া ডিভিশনের মহাব্যবস্থাপক গোলাম মোহাম্মদ শিবলী জানান, চা শিল্পের জন্য প্রথম এই বৃষ্টিপাত আর্শীবাদ বলে তিনি মনে করেন। প্লুনিং (ছাঁটাই) করা চা গাছে এখন নতুন কুঁড়ি গজাবে। এই বৃষ্টিপাত চা শিল্পের জন্য খুবই উপকারী।
ফলে দ্রুত চা বাগানগুলো সবুজের সামারোহে ভরে উঠবে। আগাম এই বৃষ্টির ফলে চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি গুণগতমান বজায় থাকবে।