Image default
বাংলাদেশ

ভোলায় ডেঞ্জার জোনে চলছে লঞ্চ, যাত্রী জিম্মি করে ভাড়া আদায়

প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মনপুরা-চরফ্যাশন নৌরুটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন লঞ্চ মালিকেরা। ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক জরিমানা আদায়ের পর ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়ার একদিন পরই আইনের তোয়াক্কা না করে আদায় করছে অতিরিক্ত ভাড়া। এতে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা। অতিরিক্ত ভাড়া দিতে অস্বীকৃতি জানালে খারাপ আচরণ ও শারীরিক হেনস্তার শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। লঞ্চ কর্তৃপক্ষের এমন আচরণে সাধারণ যাত্রী ও সচেতন মহলের মনে ক্ষোভসহ প্রশ্ন হচ্ছে- লঞ্চ মালিকদের এত ক্ষমতার উৎস কোথায়?’

জানা যায়, গত বুধবার মনপুরা- চরফ্যাশন রুটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভোলায় ডেঞ্জার জোনে চলছে লঞ্চ, যাত্রী জিম্মি করে ভাড়া আদায়ভিযোগে মনপুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম মিঞা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসময় তিনি লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অপরাধে নগদ ৩০ হাজার টাকা জরিমান ও অতিরিক্ত টোল আদায়ের অপরাধে ইজারাদারকে নগদ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এবং মাথাপিছু লঞ্চ ভাড়া ৮০ টাকা করে নির্ধারণ করে দেন।

কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশনার একদিন না যেতেইে ফের ১২০ টাকা করে ভাড়া আদায় করে যাত্রীদের কাছ থেকে। যাত্রীরা অতিরিক্ত ভাড়া দিতে অস্বীকৃতি জানালে খারাপ আচরণ, শারীরিক হেনস্তা ও বিভিন্ন প্রকার হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও লঞ্চ ঘুরিয়ে চরফ্যাশনের বেতুয়া ঘাটে নিয়ে যাত্রীদেরকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

এ ব্যাপারে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে মুঠোফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি।

ভুক্তভোগী সাধারণ যাত্রীরা জানান, চরফ্যাশনের বেতুয়া লঞ্চঘাট থেকে মনপুরার জনতা বাজার লঞ্চঘাট পর্যন্ত মাত্র ৪০ মিনিটের পথ। যেখানে লকডাউনে বর্ধিত ভাড়াই ৮০ টাকা ছিলো। সেখানে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ জোরপূর্বক ১২০ টাকা ভাড়া আদায় করছে। ওদের অত্যাচারে কোন যাত্রী মুখ খোলার সাহস পাচ্ছেন না।

অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, যাত্রীদের সাথে খারাপ আচরণ, বিভিন্ন প্রকার হুমকি ও শারীরিক হেনস্তা থেকে মুক্তি পেতে ভোলা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন ভুক্তভোগীরা।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম মিঞা এই প্রতিবেদককে জানান, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মহোদয় ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ আকারে জানানো হয়েছে। আশা করি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএ’র বিভাগীর সহকারী পরিচালক মোঃ কামরুজ্জান জানান, এই রুটটি সম্পূর্ণ ডেঞ্জার জোন। ওই রুটে আমাদের পক্ষ থেকে কোন প্রকার লঞ্চ বা ট্রলার চলাচলের নিবন্ধন দেওয়া হয়নি।

Related posts

শাহ আমানত বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার প্রবাসীরা

News Desk

আগুনে ঘর হারানো ৫ হাজার রোহিঙ্গা খোলা আকাশের নিচে, শীতে মানবেতর জীবন

News Desk

লকডাউনে যে সকল বিধিনিষেধ মানতে হবে

News Desk

Leave a Comment