বন্যায় কষ্টে আছেন নোয়াখালীর ২০ লাখ মানুষ, ত্রাণ সহায়তার আহ্বান
বাংলাদেশ

বন্যায় কষ্টে আছেন নোয়াখালীর ২০ লাখ মানুষ, ত্রাণ সহায়তার আহ্বান

ভারী বৃষ্টি ও ফেনীর মহুরী নদী থেকে নেমে আসা পানিতে নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এতে জেলার ৯টি উপজেলার প্রায় চার লাখ মানুষ বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। গ্রামীণ সড়কে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে চরম দুর্ভোগ ও কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন ২০ লাখ মানুষজন।

বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে দুর্যোগ কমিটির জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, টানা বৃষ্টিতে জেলা শহর মাইজদীসহ ৯টি উপজেলার বেশিরভাগ এলাকা ডুবে আছে। ফেনীর পানি আসছে নোয়াখালীতে। এতে জেলার সেনবাগ, বেগমগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলার বেশিরভাগ গ্রাম ডুবে গেছে। শহরের খালগুলো অবৈধভাবে দখল ও পৌর এলাকার ড্রেনগুলো দীর্ঘদিন পরিষ্কার না করায় শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে যাতায়াতে দুর্ভো পোহাতে হচ্ছে।

জেলা আবহাওয়া অধিদফতরের উচ্চ পর্যবেক্ষক আরজুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘লঘুচাপ ও মৌসুমি জলবায়ুর কারণে জেলায় আরও তিন দিন ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।’

নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. জাকির হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জেলায় পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক সাত লাখ ৭৫ হাজার। এর মধ্যে সাড়ে চার লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। ভারী বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকার লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেগমগঞ্জের উপকেন্দ্রে পানি উঠে গেছে। এজন্য বিদ্যুৎ-সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে।’

গ্রামীণ সড়কে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে আটটি উপজেলার মানুষ বন্যাকবলিত হয়েছে। এসব উপজেলায় ইতোমধ্যে ৩৮৮ আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৩৭ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। জেলায় প্রায় ২০ লাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আছেন। আমরা শুকনো খাবার দেওয়ার চেষ্টা করছি। উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন। স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছেন। আমরা বিত্তশালী মানুষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ান। প্রশাসন ও সরকারের পক্ষ থেকে নগদ টাকা ও চাল বিতরণ করা হয়েছে। ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে আমরা চাহিদার কথা জানিয়েছি।’

ডুবে গেছে রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘নোয়াখালীতে প্রথমে জলাবদ্ধতা ছিল। কিন্তু ফেনী জেলার মুহুরী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় তা নোয়াখালীর ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সে কারণে নোয়াখালীতে বন্যা দেখা দিয়েছে।’

Source link

Related posts

যমুনার পানিতে তলাচ্ছে ফসলি জমি, ভাঙছে ঘরবাড়ি

News Desk

মামলার বিচারকাজ স্থগিত ছয় বছর ধরে

News Desk

সপ্তাহজুড়ে বৃষ্টিপাতের আভাস

News Desk

Leave a Comment