বন্যাদুর্গত পরিবারগুলোতে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট
বাংলাদেশ

বন্যাদুর্গত পরিবারগুলোতে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট

টানা তিন দিনের বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার  মেরুং ও কবাখালী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে দুই ইউনিয়নের দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে এসব এলাকার ফসল। দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট। এ অবস্থায় সোমবার (২০ জুন) পর্যন্ত তাদের কাছে সরকারি ত্রাণ পৌঁছেনি বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

বন্যাকবলিত এলাকার মানুষজন জানিয়েছেন, বন্যায় দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ও কবাখালী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় আছে। পাহাড়ি ঢলে রাস্তাঘাট তলিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে শত একর জমির ফসল। দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট।

কবাখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন, ‘তিন দিন ধরে পরিবার নিয়ে পানিবন্দি অবস্থায় আছি। এখন পর্যন্ত সরকারি কোনও ত্রাণ সহায়তা পাইনি। বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করায় রান্নাবান্না করা যাচ্ছে না। আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি।’ 

১ নম্বর মেরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার লাকী বলেন, ‘মেরুং ইউনিয়নে দুটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। রবিবার রাত থেকে ৫০ পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে। এসব পরিবারকে আমার পক্ষ থেকে ভুনা খিচুড়ি দেওয়া হয়েছে। এখনও শতাধিক পরিবার পানিবন্দি। কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকারি ত্রাণ সহায়তা না পাওয়া তাদের দেওয়া সম্ভব হয়নি।’

৩ নম্বর কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জ্ঞান চাকমা বলেন, ‘ইউনিয়নের শান্তিপুর ও নারিকেল বাগানসহ বেশ কয়েকটি এলাকার শতাধিক পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হবে। এখনও সরকারি ত্রাণ পাইনি। তাই তাদের মাঝে বিতরণ করা হয়নি।

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘জেলার যেসব নিম্নাঞ্চলে পানি উঠেছে, সেসব এলাকার লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। তাদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন। তাদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হবে।’

Source link

Related posts

গজারিয়ায় ৫ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন

News Desk

জলবায়ু বিপর্যয়ে অস্তিত্ব সংকটে মুন্ডা সম্প্রদায়, বাঁচবে কীভাবে

News Desk

চাঁদপুরে ইলিশের কেজি ১৯০০

News Desk

Leave a Comment