পুণ্যস্নানে হাজারো ভক্তের ভিড়, জমজমাট লোকজ উৎসব
বাংলাদেশ

পুণ্যস্নানে হাজারো ভক্তের ভিড়, জমজমাট লোকজ উৎসব

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর এলাকার ভাদুঘর তিতাস নদীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহাবারুণী গঙ্গাস্নান উৎসব পালিত হয়েছে। পুণ্য ও মঙ্গল কামনায় প্রতি বছর বৈশাখ মাসের শুক্ল পক্ষের তৃতীয়া তিথিতে এ গঙ্গাস্নান উৎসব হয়।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) গঙ্গাস্নান উৎসব ঘিরে তিতাস পাড়ে বসেছে লোকজ মেলা। ভক্ত ও পুণ্যার্থীদের পাশাপাশি অন্তত পাঁচ শতাধিক দোকানি পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। বেচাকেনা ভালো হওয়ায় বেশ খুশি তারা।

ভাদুঘর তিতাস পাড়ে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই নদীর তীরে এসে জড়ো হয়েছেন হাজারো ভক্ত। তারা তিথি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গঙ্গাস্নানে অংশ নেন। নদীর পবিত্র জলে স্নানের মধ্য দিয়ে নিজেদের পরিবারের পাশাপাশি দেশ জাতির কল্যাণ কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করেন।

সুস্মিতা রানি দাস নামে এক ভক্ত বলেন, ‘নিজের জানা-অজানা পাপ মোচনের জন্য গঙ্গাস্নান করেছি। এরপর পরম করুণাময় ভগবানের কাছে নিজের পরিবার ও দেশের মানুষের মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করেছি।’

মিষ্টিদেব নামে আরেক ভক্ত জানান, গঙ্গার পবিত্র জলে স্নান করার পর পাপ মোচন হয়। তর্পণাদির মাধ্যমে পূর্ব পুরুষরা পরিত্রাণ পান। এই বিশ্বাস থেকে গঙ্গাস্নানে অংশ নেন তিনি। ভগবান যেন সবার মঙ্গল করেন।

এদিকে, গঙ্গাস্নান ঘিরে নদীর তীরে বসা লোকজ মেলায় নাগরদোলা, হরেক রকম খাবার; মুড়ি-চিড়া, মাঠা, তিল্লাই, বাতাসাসহ মাটির তৈরি বাহারি খেলনার পসরা সাজিয়ে বসেছেন পাঁচ শতাধিক দোকানি। ভক্ত সমাগম বাড়ার পাশাপাশি বেচাকেনা ভালো হওয়ায় খুশি বিক্রেতারা। কোটি টাকা বিক্রির আশা তাদের।

খাবারের দোকানের পসরা নিয়ে বসা রথিন্দ্র নাথ রায় বলেন, ‘ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশ ভালো। বেচাকেনাও হচ্ছে বেশ।’

মেলায় আসা বিজয় দাস বলেন, ‘গঙ্গাস্নান শেষে মেলা থেকে নারু, মন্ডা, মিঠাই, তিল্লাই, খই ও চিড়া কিনেছি। শিশুদের জন্য খেলনাসামগ্রী কিনেছি। এখানে আসতে পেরে বেশ ভালো লাগছে।’

মাটির খেলনাসামগ্রী নিয়ে বসা পবিত্র পাল বলেন, ‘প্রতি বছর ভাদুঘরের মেলায় দোকান নিয়ে বসি। এবার ক্রেতা ও ভক্তদের উপস্থিতি বেশি। বেচাকেনা ভালো হচ্ছে।’

Source link

Related posts

বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে প্রাণ গেলো একজনের

News Desk

বগুড়ায় আওয়ামী লীগ-বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ, আহত ২৭

News Desk

ময়মনসিংহে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৭৬৮৭ জন 

News Desk

Leave a Comment