পটুয়াখালীতে বাড়ছে নদ-নদীর পানি, ৩০ গ্রাম প্লাবিত
বাংলাদেশ

পটুয়াখালীতে বাড়ছে নদ-নদীর পানি, ৩০ গ্রাম প্লাবিত

পটুয়াখালীতে পূর্ণিমার কারণে জোয়ারের প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে নদ-নদীর পানির উচ্চতা ২ থেকে ৩ ফুট বেড়েছে। এতে পৌর শহরের বেশকিছু এলাকাসহ অন্তত ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় গবাদিপশুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। দুর্ভোগে রয়েছে প্রায় ২০ হাজার মানুষ। 

বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে সরেজমিন দেখা গেছে, জোয়ারের প্রভাবে জেলার রাঙ্গাবালী, কলাপাড়া, দশমিনা, গলাচিপা, বাউফল ও মির্জাগঞ্জ উপজেলার ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করছে। এতে প্লাবিত হয়েছে ৩০টিরও বেশি গ্রাম। 

এছাড়া জেলার বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাসরত অনেকের ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। দফায় দফায় জোয়ারে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার প্রায় ২০ হাজার মানুষ। তলিয়ে গেছে শত শত হেক্টর ফসলি জমি। ভেসে গেছে বেশকিছু ঘের ও পুকুরের মাছ। এতে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা। 

রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের বাশিন্দা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়নের পূর্ব পাশের বেড়িবাঁধ অনেক আগেই ভেঙে গেছে। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বৃদ্ধি পেলেই ওই ভাঙা জায়গা দিয়ে পানি প্রবেশ করে। এতে প্লাবিত হয় ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম।’

কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের চান্দুপাড়া গ্রামের ফিরোজ মিয়া বলেন, ‘আমাদের এখানে মূল বেড়িবাঁধে ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ঢেউয়ের ঝাপটায় বেশ কিছু গাছপালা এবং দোকান-ঘর ভেঙে গেছে। এছাড়া পানিবন্দি হয়ে আছে ১০ গ্রামের মানুষ।’

একই এলাকার অপর বাসিন্দা আমজেদ উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের দুর্ভোগ আসলে কারও চোখে পড়ে না। বছরের প্রায়ই সময় আমরা পানির নিচে থাকি। আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই।’

ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করছে

লালুয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জাফর আলী সরদার জানান, এই এলাকার অনেক মানুষ ভাঙা বেড়িবাঁধ নিয়ে ব্যাপক দুর্ভোগে রয়েছেন। আমরা বার বার উপজেলা প্রশাসনকে বেড়িবাঁধ নির্মাণের অনুরোধ জানিয়েছে। কিন্তু কোনও কাজে আসছে না। 

পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী জানান, পূর্ণিমার কারণে নদ-নদীর পানি কিছুটা বেড়েছে। এই অবস্থা আরও দুই-একদিন থাকতে পারে।

পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাইছার আলম বলেন, পায়রা নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে আজ দুপুরে ২৭ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে এখন বর্ষাকাল, এতে পূর্ণিমার ও অমাবস্যার সময় এরকম পানি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। লালুয়া ইউনিয়নে বেড়িবাঁধের কাজ মূলত পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের করার কথা ছিল। কিন্তু তারা করেনি, এখন আমরা করবো।  

Source link

Related posts

কঠোর লকডাউনের মেয়াদ বাড়ল আরো ৭ দিন

News Desk

পুঁতে ফেলা তিমি দুই মাস পর আবার তোলা হবে

News Desk

সরিষাবাড়ীতে ট্রেনে কাটা পড়ে ২ যুবকের মৃত্যু

News Desk

Leave a Comment