নোয়াখালীতে মিধিলি’র আঘাতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
বাংলাদেশ

নোয়াখালীতে মিধিলি’র আঘাতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র আঘাতে নোয়াখালীর হাতিয়া ও সুবর্ণচর উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বাড়িঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। উপড়ে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা। বিনষ্ট হয়েছে ক্ষেতের আমন ফসল ও শাকসবজি। বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে ও তার ছিঁড়ে যাওয়ার কারণে পুরো জেলায় গতকাল শুক্রবার থেকে শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর পর্যন্ত ৭০ ভাগ সংযোগে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে সীমাহীন ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন জেলাবাসী।

ঘূর্ণিঝড়ে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে আহত হয়েছেন মো. হানিফ নামের এক ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি। হাতিয়া উপজেলার চতলার ঘাটে ২৫০ বস্তা ধানসহ একটি ট্রলার ডুবে গেছে। এ ছাড়া ডুবে গেছে ঘাটে থাকা একটি ড্রেজার মেশিন।

ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র আঘাত শুরুর আগের রাত থেকেই জেলাজুড়ে ব্যাপক বৃষ্টিপাত শুরু হয়। জেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে ঘূর্ণিঝড় নোয়াখালীতে আঘাত হানে। জেলা শহর মাইজদীতে ঝড়ে বাতাসের গতিবেগ ছিল ১২০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার। এতে শহরের পাঁচ রাস্তার মোড় এলাকায় একটি গাছ উপড়ে পড়ে বিদ্যুতের ১১ হাজার কেভিএ লাইন ছিঁড়ে যায়। ঝড়ের আঘাতে জেলার উপকূলীয় উপজেলা হাতিয়ার হরণী ও চানন্দিসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘরবাড়ি, গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে কোথাও কোনও প্রাণহানির তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

রেহাই পায়নি গাছপালা ও বসতবাড়ি

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী হাবিবুল বাহার বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে বিভিন্ন স্থানে গাছের ডালপালা পড়ে বিদ্যুৎ লাইনের তার ছিঁড়ে গেছে। জেলার ৯ উপজেলায় ১৭৯ টি বিদ্যুতের খুঁটি হেলে পড়ে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত ৩০ ভাগ সংযোগ সচল করা সম্ভব হয়েছে।’

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড়ে মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নিরূপণ করা যায়নি। মাঠপর্যায়ে কাজ চলছে। সব তথ্য পেলে মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।

Source link

Related posts

তিন পুলিশ সুপারকে অবসরে পাঠাল সরকার

News Desk

দৌলতদিয়ায় বিপৎসীমার ওপরে পদ্মার পানি

News Desk

কুমারী পূজায় ভক্তদের বিশ্বশান্তি কামনা

News Desk

Leave a Comment