Image default
বাংলাদেশ

তালা ভেঙে মেডিক্যাল পরীক্ষার্থীকে উদ্ধার করে কেন্দ্রে পৌঁছালো পুলিশ

 

 

দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে বৃহস্পতিবার বিকালে লালমনিরহাট থেকে দিনাজপুরে আসেন আরিফাতুজ্জামান। ভাইয়ের সঙ্গে ওঠেন দিনাজপুর শহরের মালদহপট্টি গ্রাউন্ড পুনর্ভবা আবাসিক হোটেলে। শুক্রবার (১ এপ্রিল) সকালে হোটেল থেকে বের হওয়ার সময় দেখেন প্রধান গেটে তালা দেওয়া। এ সময় বারবার ম্যানেজারসহ সংশ্লিষ্টদের মোবাইলফোনে কল দেওয়া হলেও কেউ রিসিভ করেননি। অবশেষে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর-৯৯৯ এ কল দিলে পুলিশ এসে তালা ভেঙে তাদের উদ্ধার করে।
 
শুধু উদ্ধারই নয়, ওই ছাত্রীকে মোটরসাইকেলে করে কেন্দ্রে পৌঁছে দিয়েছে পুলিশ। ফলে কিছুটা দেরি হলেও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পেরেছেন তিনি। 

আরিফাতুজ্জামান লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের মেয়ে। 

কতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, সকাল পৌঁনে ১০টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুজন সরকারকে ৯৯৯ থেকে ফোন দিয়ে জানানো হয় ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আসা এক  পরীক্ষার্থী দিনাজপুর শহরের মালদহপট্টি গ্রাউন্ড পুনর্ভবা আবাসিক হোটেলে আটকা পড়েছে। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বলা হয়। বিষয়টি আমাকে জানানো হলে পরীক্ষার্থীকে তালা ভেঙে উদ্ধার করি। পরে তাকে  মোটরসাইকেলযোগে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়। মেয়েটি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সুন্দরভাবে পরীক্ষা দিয়েছে।

আবাসিক হোটেলটির ম্যানেজার আল আমিন রহমান বলেন, অসুস্থতার কারণে রাতে ডিউটিরত হোটেল বয়কে ছুট দিয়েছিলাম। আমিও মোবাইলফোন সাইলেন্ট করে ঘুমিয়ে ছিলাম। তাই ফোনে কল আসার বিষয়টি বুঝতে না পেরে এই ঘটনা ঘটেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরীক্ষার্থী আরিফাতুজ্জামানের সঙ্গে আসা ভাই আব্দুর রফিক জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে তারা দিনাজপুর শহরের মালদহপট্টির আবাসিক হোটেলের ৫ম তলায় ডি-১ কক্ষে উঠেন। সকাল সাড়ে ৮টার সময় হোটেল থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার সময় বের হতে গিয়ে দেখেন প্রধান গেটে তালা দেওয়া। এরপর হোটেলের কাউকে না পেয়ে ম্যানেজারের নম্বরে অনেকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভি করেননি। পরে ৯৯৯ ফোন দিয়ে সহযোগিতা চাইলে পুলিশ এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়। পুলিশের সহযোগিতা না পেলে আজ আমার বোন পরীক্ষা দিতে পারতো না।

পরীক্ষার্থী আরিফাতুজ্জামান বলেন, প্রথমে আমি পুলিশকে ধন্যবাদ জানাবো। তারা তালা ভেঙে আমাকে উদ্ধার করে দ্রুত কেন্দ্রে পৌঁছে দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারবো কিনা তা জানি না। কিন্তু পুলিশের কাছে সারা জীবন কৃতজ্ঞ থাকব। পরীক্ষা কেন্দ্রে সামান্য বিড়ম্বনা হয়েছিল, ৫-৭ মিনিট নষ্ট হয়েছে। তারপরও আমি আশাবাদী।

দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোমেনুল হক বলেন, আমরা দ্রুত মেয়েটিকে তার পরীক্ষার কক্ষে পৌঁছে দিয়েছি। সে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। আমি পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই তারা দ্রুত মেয়েটিকে উদ্ধার করে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। অন্যথায় মেয়েটি সারাজীবন পরীক্ষা দিতে না পারার গ্লানি বয়ে বেড়াতো‌ অথবা একটি বছর নষ্ট হতো।

Source link

Related posts

মার্কেট খোলার আগেই পাল্টে গেছে লোকডাউনের চিত্র

News Desk

পাহাড়ে বেড়েছে বসতি, মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে সাড়ে ছয় হাজার পরিবারের বাস

News Desk

শপিংমল-দোকান খোলার ঘোষণা আসছে!

News Desk

Leave a Comment