Image default
বাংলাদেশ

(টিসিবি) চাহিদার মাত্র এক-তৃতীয়াংশ মেটাতে পারছে

সরকারি বিপণন প্রতিষ্ঠান টিসিবির ট্রাকের পণ্য কিনতে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন কামরাঙ্গীরচরের পঞ্চাশোর্ধ্ব মোখলেস মিয়া। উদ্বিগ্ন হয়ে বারবার সামনে লম্বা লাইনের দিকে তাকাচ্ছিলেন। গতকালও (মঙ্গলবার) লাইনে দুই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে পণ্য শেষ হওয়ায় চলে যান। আজও তার সামনে অসংখ্য নারী ও পুরুষের লম্বা লাইন দেখে চিন্তার ভাঁজ কপালে।

আজ (বুধবার) দুপুরে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘যে লম্বা সিরিয়াল! আজও মাল পাই কিনা খোদাই জানে।’ এ কথা বলে দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন তিনি।দুপুর প্রায় সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় টিসিবির ট্রাকের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

সরেজমিনে টিসিবির পণ্য বিক্রেতা ও আগত ক্রেতাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, করোনাকালে মানুষের চাহিদার তুলনায় টিসিবির পণ্য কম সরবরাহ করা হচ্ছে। তাছাড়া টিসিবির পণ্যের ট্রাক দুপুরের আগে আসছে না। কিন্তু অসংখ্য নারী ও পুরুষ সকাল থেকেই লম্বা সিরিয়াল দিয়ে অপেক্ষা করেন। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজেও অপেক্ষার প্রহর যেন তাদের ফুরায় না।

নিউমার্কেটে টিসিবির পণ্য বিক্রেতা জানান, তাদের প্রতিদিন মাত্র ২০০ জনের পণ্য দেয়া হয়। কিন্তু কমপক্ষে তিনগুণ অর্থাৎ ৬০০ জনের চাহিদা রয়েছে। ফলে যারা সিরিয়ালে আগে থাকেন তাদেরই তারা পণ্য দেন। এসব ট্রাক থেকে ক্রেতারা চিনি কেজিপ্রতি ৫৫ টাকা (একজন সর্বোচ্চ চার কেজি ), প্রতি কেজি মসুর ডাল ৫৫ টাকা (সর্বোচ্চ দুই কেজি ) এবং সয়াবিন তেল ১০০ টাকা লিটারে (দুই থেকে সর্বোচ্চ ৫ লিটার) কিনতে পারছেন।

সরেজমিনে পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, টিসিবির ট্রাকের দুই পাশে নারী ও পুরুষের দীর্ঘ লাইনে স্বাস্থ্যবিধি মোটেই মানা হচ্ছে না। ক্রেতাদের অনেকেই বলছেন, টিসিবির পণ্য কিনতে এসে কাছাকাছি দাঁড়িয়ে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আরও বেশি ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। সকাল থেকে পণ্য বিক্রি শুরু হলে এতটা ভিড় ও ভোগান্তি হতো না বলে তারা জানান।

করোনাভাইরাস মহামারি ও সারাদেশে চলমান লকডাউনে ভোক্তাদের অপেক্ষাকৃত কম দামে পণ্য দিতে ৫ জুলাই থেকে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়। আগামী ২৯ জুলাই (ঈদুল আজহার ছুটি ব্যতীত) পর্যন্ত প্রতিদিন পণ্য বিক্রি চলবে।

টিসিবি সূত্রে জানা গেছে, মহানগরসহ সারাদেশে টিসিবির ৪৫০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে ৮০টি ও চট্টগ্রাম সিটিতে ২০টি ট্রাক। এছাড়া প্রতিটি মহানগর ও জেলা শহরেও ট্রাক সেলের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। বর্তমানে টিসিবির প্রতিটি ট্রাকে দৈনিক ৬০০-৮০০ কেজি চিনি, ৩০০-৬০০ কেজি মসুর ডাল এবং ৮০০-১২০০ লিটার সয়াবিন তেল বরাদ্দ রাখা হচ্ছে।

Related posts

ডুবে গেছে পাকা ধান, শ্রমিক সংকটে দুশ্চিন্তায় কৃষক

News Desk

আমরা ঋণ নেবো না, ঋণ দেবো : অর্থমন্ত্রী

News Desk

করোনা মোকাবিলায় ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ

News Desk

Leave a Comment