‘জিয়া স্মৃতি জাদুঘর’র নাম বদলে ‘মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘর’ করার দাবি
বাংলাদেশ

‘জিয়া স্মৃতি জাদুঘর’র নাম বদলে ‘মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘর’ করার দাবি

চট্টগ্রামে জাদুঘর থেকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নাম সরাতে গণসাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ। মঙ্গলবার (১০ মে) বিকাল ৪টায় ‘জিয়া স্মৃতি জাদুঘর’ এর সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। 

এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নাম পরিবর্তন করে ‘মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘর’ রাখার দাবি জানান। দ্রুত নাম পরিবর্তন করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা। 

স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জাদুঘরের নাম পরিবর্তনের জন্য ডাকা এ কর্মসূচিতে আমরা প্রথম দিন কয়েক হাজার কর্মী গণস্বাক্ষর করেছি। নগরীর ১৬টি থানার ৪১টি ওয়ার্ড পর্যায়ে এ কর্মসূচি পালিত হবে। আমরা দুই লাখের মতো গণস্বাক্ষর সংগ্রহের পর তা নিয়ে সাস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ে যাবো। সেখানে দায়িত্বরত মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এ গণস্বাক্ষরের পেছনের দাবির কথা বলবো।’  

চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মুক্তিযুদ্ধের বিজয়মেলা পরিষদের কো-চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুচ, মুক্তিযোদ্ধা কাজি নুরুল আবছার, শহীদুল হক চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ডের আহবায়ক শাহেদ মুরাদ সাকু ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের পক্ষে কাজি রাজেশ ইমরান প্রমুখ।

গত ক’দিন আগে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক অনুষ্ঠানে প্রয়াত সামরিক শাসক ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নামে চট্টগ্রামের ‘জিয়া স্মৃতি জাদুঘর’র নাম পরিবর্তনের দাবিতে স্বেচ্ছাসেবক লীগকে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে নামার আহ্বান জানান। গত ৪ মে নগরীর আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে আবদুল্লাহ কনভেনশন সেন্টারে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে উপমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

 জানা গেছে, ১৯১৩ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার চট্টগ্রাম নগরীর এসএস খালেদ রোডের পাশের ভবনটি নির্মাণ করে। পরবর্তীতে এটি চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ১৯৮১ সালের মে মাসে চট্টগ্রাম সফরকালে সার্কিট হাউসের ৪ নম্বর কক্ষে ওঠেন। ৩০ মে একটি সামরিক অভ্যুত্থানে তিনি নিহত হন। সে বছরের ৩ জুন সার্কিট হাউসকে একটি জাদুঘরে রূপান্তরের প্রস্তাব গৃহীত হয়। ১৯৯৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর এর উদ্বোধন হয়। এখানে জিয়াউর রহমানের ব্যক্তিগত বেশ কিছু সামগ্রী এবং কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে আনা স্বাধীনতা ঘোষণার ট্রান্সমিটারটি সংরক্ষিত আছে।

 

Source link

Related posts

দীর্ঘ বন্যার কবলে কুড়িগ্রাম, মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা

News Desk

সোয়া লাখ শিশুকে ভিটামিল এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে রংপুরে

News Desk

আরও বাড়বে গরম

News Desk

Leave a Comment