Image default
বাংলাদেশ

জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মাহফুজকে বহিষ্কারের সুপারিশ

দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাহফুজ চৌধুরীকে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ কেন্দ্রে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের মাসিক সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বেলা তিনটার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুর রহমানের সভাপতিত্বে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের মার্চ মাসে জয়পুরহাটের একটি অনুষ্ঠানে গোলাম মাহফুজ চৌধুরী জয়পুরহাট-২ আসনে দলীয় মনোনয়ন চাওয়ার ঘোষণা দিয়ে জাতীয় সংসদের হুইপ ও জয়পুরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের বিরুদ্ধে অশোভন বক্তব্য দিয়েছিলেন। হুইপের বিরুদ্ধে অশোভন বক্তব্য দেওয়ায় কালাই ও আক্কেলপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা গোলাম মাহফুজ চৌধুরীকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি তোলেন। এরপর জেলা আওয়ামী লীগ দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ তুলে গোলাম মাহফুজ চৌধুরীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। গোলাম মাহফুজ চৌধুরী কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবও দেন। কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগ গোলাম মাহফুজ চৌধুরীর জবাবে সন্তুষ্ট হতে পারেনি। এরপর জেলা আওয়ামী লীগ গোলাম মাহফুজ চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। ওই তদন্ত কমিটি জেলা আওয়ামী লীগে প্রতিবেদন দাখিল করে। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আজ বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের মাসিক সাধারণ সভায় গোলাম মাহফুজ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ওই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

জেলা আওয়ামী লীগের সভায় উপস্থিত থাকা দুজন সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, আজ দলের মাসিক সাধারণ সভায় পাঁচটি অ্যাজেন্ডা ছিল। এর মধ্যে ৫ নম্বর অ্যাজেন্ডা ছিল জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাহফুজ চৌধুরীকে নিয়ে। সভায় দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান আজ সন্ধ্যায় মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাহফুজ চৌধুরীকে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে দল থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ কেন্দ্রে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

জানতে চাইলে গোলাম মাহফুজ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি দলের নয়, ব্যক্তির বিরুদ্ধে কথা বলেছি। দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কোনো কাজ করিনি। আমাকে অব্যাহতি দেওয়ার এখতিয়ার জেলা কমিটির নেই। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত নেবেন, তা মেনে নেব।’

Related posts

‘নড়াইলে হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে’

News Desk

প্রথমবার লস হলেও এবার খুলনার ৬ পয়েন্টে বসছে ‘বিনা লাভের দোকান’

News Desk

আড়াই ঘণ্টা চলন্ত বাসে ডাকাতি, হাইওয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

News Desk

Leave a Comment