Image default
বাংলাদেশ

ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত পঞ্চগড়ের জনজীবন

উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে চারদিক। বিকাল পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। সেই সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া। তাপমাত্রা বাড়লেও শীতের প্রকোপ কমেনি। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়ছে। বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

গতকালের তুলনায় আজকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও শীতের প্রকোপ কমেনি। ৩ থেকে ৫ নটিকেল মাইল বেগে বয়ে যাচ্ছে বাতাস। দরিদ্র ও ছিন্নমূল অসহায় খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। শীতজনিত কারণে হাসপাতালগুলোতে বয়স্ক ও শিশু রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। জেলা প্রশাসন শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে। তবে শীতার্তদের একটি বড় অংশ এখনও শীতবস্ত্রের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

মাইক্রোবাসচালক আবুল হাসনাত জানান, সকাল থেকে ঘন কুয়াশায় রাস্তাঘাট ভালো দেখা যায় না। হেডলাইট জ্বালিয়ে সাবধানে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। 

জেলা শহরের মিলগেট এলাকার বাসিন্দা রেজাউল করিম রেজা জানান, ভোর থেকে ঘন কুয়াশা ঝরছে। কিছুই দেখা যাচ্ছে না। গকতালও সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। আজকেও একই অবস্থা। শীতের কারণে লোকজন কাজে করতে পারছে না। অনেকেই শীতবস্ত্রের অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়া পর্যবেক্ষক জীতেন্দ্রনাথ রায় জানান, বৃষ্টির পর ঘন কুয়াশা ঝরছে। আবারও শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আকাশ পরিষ্কার হলে তাপমাত্রা আরও কমার আশঙ্কা রয়েছে। তবে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়তে পারে।

Source link

Related posts

রংপুরে ডাস্টবিন থেকে জীবিত নবজাতক উদ্ধার

News Desk

অদম্য লিতুন জিরা পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা

News Desk

যশোরে দিনভর বৃষ্টি, শহরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

News Desk

Leave a Comment