কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে বাড়িঘর-সড়ক প্লাবিত
বাংলাদেশ

কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে বাড়িঘর-সড়ক প্লাবিত

রাঙামাটিতে হঠাৎ কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। থেমে থেমে বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে শহরের রিজার্ভ বাজার, আসামবস্তি, পাবলিক হেলথ, তবলছড়ি, শান্তিনগর এলাকার কাপ্তাই হ্রদ-তীরবর্তী অনেক বাড়ি ও সড়কে পানি উঠেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ।

হ্রদের পানি ধারণক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। বৃহস্পতিবার রুলকার্ভ অনুযায়ী কাপ্তাই লেকে পানির পরিমাণ ১০৭.৫৬ এমএসএল। কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, বছরের এই সময়ে পানি থাকার কথা ১০১.৯৯ এমএসএল।

শহরের শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা আফরোজা বেগম বলেন, ‘সকাল থেকে ঘরে পানি প্রবেশ শুরু করে। দুপুর থেকে ঘাটের ওপর সবাই বসে আছি। রুমের আসবাপত্রগুলো পানিতে ডুবে যাচ্ছে। রাতে পানি আরও বাড়লে বাসায় থাকা যাবে না। এখন কোথায় যাবো আমরা?’

কর্ণফুলি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো. আব্দুরজ্জাহের জানান, বিপৎসীমা অতিক্রম না করা পর্যন্ত বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাঁধ দিয়ে পানি ছাড়ার সম্ভাবনা নেই। গত ২৪ ঘণ্টায় কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট থেকে মোট ২০৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়েছে।

৭নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার মো. রবিউল আলম বলেন, ‘হ্রদে পানির প্রয়োজন আছে। কিন্তু পলি জমে হ্রদে নাব্যতা কমে আসায় এই দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। ডেজিং করা না হলে প্রতি বছর এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।’

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। হ্রদের সীমানা অনুযায়ী পানি এখনও বিপদসীমা পার হয়নি। তবুও পানি কমানোর বিষয়ে কাজ চলছে। পানি আরও বাড়লে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’  

Source link

Related posts

১৪ এপ্রিল থেকে সারাদেশে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা, সবকিছু বন্ধ

News Desk

সুন্দরবন ঢাল হয়ে রক্ষা করায় ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়নি মোংলায়

News Desk

ঈদেও দেখা করতে আসেনি সন্তানরা, বৃদ্ধাশ্রমে কাঁদছেন বাবা-মা

News Desk

Leave a Comment