Image default
বাংলাদেশ

কলেজ ভবনে ৭০ মৌচাক, ৫৫ হাজার টাকায় বিক্রি

শেরপুরের নকলা উপজেলার একেবারে দক্ষিণে চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের বন্দটেকি এলাকায় অবস্থিত চন্দ্রকোনা ডিগ্রি কলেজ। চরাঞ্চলে শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় কলেজটি। ২০১৮ সালে কলেজ ক্যাম্পাসে দৃষ্টিনন্দন একটি চার তলা ভবন নির্মিত হয়। তখন থেকে শীতকাল এলেই চারতলা নতুন ভবনের চারদিকের কার্নিশে মৌমাছি মৌচাক বানায়। এ বছরও কলেজ ভবনের ৭০টি মৌচাক ৫৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। 

স্থানীয়রা জানান, ব্রহ্মপুত্র নদ বিধৌত চন্দ্রকোনা এলাকায় প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে নদের পানি বেড়ে দু’পাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। এতে জমিতে প্রচুর পলি জমে। বর্ষা শেষে পানি নেমে গেলে পলি মিশ্রিত উর্বর জমিতে প্রচুর সরিষার চাষ হয়। সরিষা ফুল থেকে মধু আহরণ করে মৌমাছি বাসা বাঁধে। 

কিন্তু চন্দ্রকোনা কলেজ ভবনে মৌমাছি যে পরিমাণ বাসা বাঁধে তা এখানকার আর কোথাও দেখা যায় না। তবে ২০১৮ সাল থেকে কলেজের কোনও ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক কিংবা কর্মচারীকে মৌমাছি হুল ফুটিয়েছে এমন ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। 

স্থানীয় বাসিন্দা আমজাদ আলী জানান সরিষার মৌসুম এলেই দলে দলে মৌমাছিরা এসে কলেজ ভবনে চাক বানায়। প্রতিদিন বিকাল হলেই আশপাশের লোকজন কলেজ মাঠে জমায়েত হয় মৌচাক দেখতে। তবে কেউ মৌমাছিদের বিরক্ত করে না। তারাও কারও ক্ষতি করেছে বলে শুনিনি। 
 
শিক্ষার্থী সাগর মিয়া বলেন, আমরা যখন শ্রেণিকক্ষে থাকি কিংবা দৌঁড়ঝাপ ও মাঠে খেলাধুলা করি, তখন অগণিত মৌমাছি আমাদের মাথার ওপর দিয়ে উড়তে থাকে। কিন্তু আমাদের কোনও ক্ষতি তারা করেনি।  

কলেজের গ্রন্থাগারিক ও চন্দ্রকোনা ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান গেন্দু জানান, প্রথম অবস্থায় মৌচাকের সংখ্যা কম থাকলেও এবার তা বেড়ে ৭০টিতে দাঁড়িয়েছে। কলেজের কেউ মৌমাছিদের বিরক্ত করে না। 

তিনি আরও বলেন, গত দু’বছর ধরে আমরা মৌচাকগুলো নিলামে বিক্রি করে দিচ্ছি। এতে কলেজের একটা বাড়তি আয়ের ব্যবস্থা হয়েছে। এ বছর মৌচাকগুলো ৫৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে বেল জানান তিনি। 

 

Source link

Related posts

অর্ধশত যাত্রী নিয়ে শীতলক্ষ্যায় “রাবিত-আল হাসান” নামের লঞ্চ ডুবি

News Desk

চমেক হাসপাতালে নিহত ১১ জনের স্বজনদের আর্তনাদ

News Desk

গত ৪ মাসে বজ্রপাতে ১৭৭ মৃত্যু

News Desk

Leave a Comment