Image default
বাংলাদেশ

আড়াই ঘণ্টায় ফাঁকা শাহবাগ

রাজধানীর শাহবাগ মোড়ের দুই দিকে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালায় সেনাবাহিনী, র‍্যাব ও পুলিশের একটি চেকপোস্ট। সেনাবাহিনী টহল শেষ হলে এরপর সেখানে আসে বিজিবি। বাটা সিগন্যাল, কাঁটাবন হয়ে যেসব গাড়ি আসছিল, সেগুলো ফুটওভার ব্রিজের নিচে থামিয়ে প্রতিটি গাড়ি চেক করেছিল সেনাবাহিনী। এই চেকপোস্ট পেরিয়ে যেসব গাড়ি মৎস্য ভবনের দিকে যাচ্ছিল, সেগুলো আবার আটকায় র্যাব। এতে একদিকে যেমন দীর্ঘ যানজট হয়, তেমনিভাবে দুর্ভোগে পড়তে হয় সাধারণ মানুষের।

শাহবাগে সেনাবাহিনীর দলটির নেতৃত্বে ছিলেন মেজর হাসান চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকটি গাড়ি থামিয়ে বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করেছি। যারা সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি, তাদেরকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ট্রাফিক পুলিশের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হয়।

এছাড়া যারা মাস্ক ছাড়া বা থুতনিতে মাস্ক নামিয়ে চলছেন তাদের সতর্ক ও সচেতন করা হয় বলেও জানান মেজর হাসান। এদিকে, মৎস্য ভবনের দিকে যাওয়ার পথে বারডেমের সামনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে র‍্যাব। অকারণে যারা বের হয়েছেন তাদের বিভিন্ন অঙ্কের জরিমানা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু।

একশ থেকে দেড়শ গজ আগে সেনাবাহিনীর চেকপোস্ট থাকার পরও একই পথের যাত্রীদের থামিয়ে কোনো কাজ হচ্ছে কি-না- এমন প্রশ্নে র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, ‘সামনে সেনাবাহিনী চেক করছে। কিন্তু আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি। প্রতিটি সড়কেই বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্ট রয়েছে। আমরা চেক করার পাশাপাশি জরিমানা করেছি, মাস্ক বিতরণ করেছি।’ যদিও র‍্যাবের মতো সেনাবাহানীও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে কয়েকজনকে জরিমানা করতে দেখা গেছে।

সেনাবাহিনীর দলটি দুপুর দেড়টার দিকে অন্যত্র চলে যায়। এর পরপরই আসে বিজিবির একটি টহল দল। তারা এসে দাঁড়ায় শাহবাগ মোড় ক্রস করে কাঁটাবন যাওয়ার পথে জাতীয় জাদুঘরের পাশে। তাদেরও ব্যক্তিগত গাড়ি ও পথচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা যায়। বিজিবি যেখানে চেকপোস্ট বসায় তার কিছুটা আগেই শাহবাগ ফুল মার্কেটের সামনে একটি চেকপোস্ট রয়েছে শাহবাগ থানা পুলিশের। তারাও মৎস্য ভবন থেকে শাহবাগের দিকে আসা গাড়িগুলো থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

আড়াই ঘণ্টা ধরে চার বাহিনীর চেকপোস্টের কারণে মানুষের চলাচল ছিল তুলনামূলক অনেক কম। কিন্তু তাদের চলে যাওয়ার পরে আবার স্বাভাবিকভাবেই যানবাহনের চলাচল বেড়ে যায়।এদিকে, আড়াই ঘণ্টায় র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১৩ জনকে জরিমানা করা হয় ৭ হাজার ১০০ টাকা।

র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু জাগো নিউজকে বলেন, ‘লকডাউনের কারণে সাময়িক সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু এটার দীর্ঘমেয়াদী সুফল রয়েছে। ব্যক্তি-পরিবার, সমাজ, দেশকে করোনা থেকে সুরক্ষার দিকটা বিবেচনায় আমরা কঠোরভাবে সরকারি বিধি-নিষেধ পরিপালনের চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, ‘সরকারি বিধিনিষেধ পরিপালনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। একান্তই জরুরি ও অত্যাবশ্যক কারণ ছাড়া বা বিধি-নিষেধের নির্দেশনার আওতার বাইরে যারা রয়েছেন, তারা শুধু বের হতে পারছেন। এর বাইরে আমরা চেকপোস্ট বসিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জিজ্ঞাসাবাদ করছি, যাদের কারণ যথোপযুক্ত মনে হচ্ছে না তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে।

Related posts

চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যু কমলেও বেড়েছে শনাক্ত

News Desk

ফকিরহাটের যুবতী অন্ত:সত্তা মামলায় আটক ১

News Desk

দাওয়াতে মাংসের বদলে ঝোল দেওয়ায় সংঘর্ষে আহত ৪

News Desk

Leave a Comment