কুমিল্লা আদালত প্রাঙ্গণ ও নগর উদ্যানের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভেকু দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী ও বেশি কিছু শিক্ষার্থী।
এরপর আওয়ামী লীগের আইনজীবীদের উদ্দেশ করে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা মহানগরের আহ্বায়ক। তিনি আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের আদালতে পিঠে বস্তা বেঁধে আসার জন্য বলেছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। অপরদিকে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে নগরীর মুন্সেফবাড়িতে সাবেক এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, রামঘাটলায় মহানগর আওয়ামী লীগের অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী ও শিক্ষার্থীরা আদালত চত্বরে জড়ো হতে থাকেন। পৌনে ৫টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সামনে স্থাপিত শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালটি ভেকু দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এ সময় তারা ‘আমার ভাই কবরে খুনি কেন ওপরে’, ‘রশি লাগলে রশি নে, খুনি হাসিনাকে ফাঁসি দে’, ‘হই হই রই রই, খুনি হাসিনা গেলি কই’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এ ছাড়া নগর উদ্যানের পাশের শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভাঙা হয়।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা মহানগরের আহ্বায়ক আবু রায়হান বলেন, স্বৈরচারী শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও তার মুজিববাদের বিভিন্ন স্মৃতিচিহ্ন রয়ে গেছে। আমরা কুমিল্লা থেকে জানিয়ে দিতে চাই, তার পিতার শেষ চিহ্নটুকু সারা দেশে থেকে মুছে দেওয়া হবে।
আইনজীবীদের হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, কুমিল্লা কোর্টে যেসব আইনজীবী আওয়ামী লীগের পক্ষে দালালি করেন, আপনারা সাবধান হয়ে যান। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের করা মামলায় আপনারা আসামিদের পক্ষে লড়বেন না। আমরা জেনেছি, বারের নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা (আইনজীবী) কোর্টে আসার পরিকল্পনা করেছেন। আপনাদের দুঃসাহস দেখে আমাদের হাসি পায়। আপনারা কোর্টে আসবেন, তবে পিঠে ছালার বস্তা বেঁধে আসবেন। বিপ্লবী ছাত্র জনতা কোর্টের বারান্দায় কোনও আওয়ামী লীগের দালাল দেখতে পেলে পিঠের চামড়া তুলে ফেলবে।
তিনি আরও বলেন, কুমিল্লা নগরীর যেখানে যেখানে মুজিবের কেবলা রয়েছে এক এক করে সবগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।