Image default
বাংলাদেশ

অরিত্রী আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় আরও একজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে মামলার ১৮ সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলো।
আগামী ১৪ মার্চ মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত। ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. রবিউল আলম আজ বৃহস্পতিবার এই দিন নির্ধারণ করেন।

আজ সাক্ষ্য দেন অনিক নামের এক ব্যক্তি। তিনি আদালতকে বলেন, অরিত্রি যেদিন আত্মহত্যা করে মারা যায়, সেদিন ওই বাসা থেকে একটি চেয়ার জব্দ করে পুলিশ। ওই দিন জব্দ তালিকায় পুলিশ তাঁর স্বাক্ষর নেয়।

মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত দুই আসামি ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখাপ্রধান জিনাত আখতার জামিনে আছেন। অরিত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলায় ২০১৯ সালের ১০ জুলাই তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

অরিত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় তাঁর বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ-শিক্ষকসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষক অরিত্রীর কাছে মুঠোফোন পান। মুঠোফোনে নকল করেছে, এমন অভিযোগে অরিত্রীর মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। পরে তিনি (দিলীপ অধিকারী) স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গেলে উপাধ্যক্ষ তাঁদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন।

একপর্যায়ে অরিত্রীকে স্কুল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়। পরে অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন।

এ সময় অরিত্রী দ্রুত অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হয়ে শান্তিনগরের বাসায় যায়। বাসায় গিয়ে দিলীপ অধিকারী দেখেন, অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলেও চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

Related posts

প্রশংসাপত্রের জন্য খরচ ২০ টাকা, আদায় ৪৫০  

News Desk

রাজশাহী মেডিক্যাল করোনা ওয়ার্ডের মেঝেতেও রোগী

News Desk

মেয়র টুটুলের ওপেন হার্ট সার্জারি, টুঙ্গিপাড়াবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা

News Desk

Leave a Comment