অবকাশ কেন্দ্র হচ্ছে না মুন্সীগঞ্জের পদ্মা সেতুর সার্ভিস এরিয়া
বাংলাদেশ

অবকাশ কেন্দ্র হচ্ছে না মুন্সীগঞ্জের পদ্মা সেতুর সার্ভিস এরিয়া

স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের বাকি আর মাত্র কয়েকঘণ্টা। এই সেতু চালুর মধ্য দিয়ে দেশের দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার মুন্সীগঞ্জ লৌহজং উপজেলার চিত্র পাল্টে  যাবে। উন্নত জীবনমান, আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি এ অঞ্চলে পর্যটনের অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হবে। 

প্রমত্তা পদ্মার নান্দনিক দৃশ্য উপভোগ করতে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের জেলা থেকে ছুটে আসবেন। একাধারে পদ্মা সেতুর সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি পদ্মার স্বচ্ছ জলরাশির খেলা মানুষের মনে প্রশান্তি দেবে। তবে মুন্সীগঞ্জ লৌহজং উপজেলার মাওয়া প্রান্তে ভ্রমণপিপাসুদের রাত যাপনের জন্য নেই কোনও আধুনিক মানসম্পন্ন রিসোর্ট বা হোটেল-মোটেল।

অনেকের প্রত্যাশা ছিল, মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগর উপজেলার দোগাছিতে পদ্মা সেতুর যে নান্দনিক সার্ভিস এরিয়া-১ করা হয়েছে- সেতুর কাজ সম্পন্ন হলে সেটি রিসোর্ট হিসেবে ভ্রমণপিপাসুদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে না। বিনোদন কেন্দ্র বা অবকাশ যাপন কেন্দ্রে রূপান্তরিত হচ্ছে না পদ্মা সেতুর সার্ভিস এরিয়া-১।

এ বিষয়ে কথা হয় পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী (সড়ক) সৈয়দ রজব আলীর সঙ্গে। তিনি জানান, পদ্মা সেতু সার্ভিস এরিয়া-১ এ ২৪টি কটেজ ও চারটি প্রিফেব্রিকেটর রয়েছে। যেখানে বর্তমানে প্রকল্পের অফিস, ল্যাবরেটরি, ডরমিটরি, প্রকৌশলীদের থাকার ব্যবস্থা, সুইমিংপুল, লংটেনিস, জিম, বাস্কেটবল ও ক্রিকেট গ্রাউন্ড রয়েছে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর জন্য আলাদা বিশ্রাম কক্ষ রয়েছে এখানে।

পদ্মা সেতু চালু হয়ে গেলে এই সার্ভিস এরিয়ায় কী করা হবে- জবাবে তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতুর টোল ব্যবস্থাপনার জন্য কোরিয়ান কেইসি কোম্পানিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা যেহেতু বিদেশি কোম্পানি, তাদের থাকার ব্যবস্থা করতে হবে সেতু কর্তৃপক্ষকেই। তাদের অফিসিয়াল কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এই সার্ভিস এরিয়া ব্যবহার হবে। এ ছাড়া তাদের থাকার ব্যবস্থাও এখানে করা হবে। এতে করে তাদের জন্য আলাদা বাসা ভাড়া না করে এখানে থাকার ব্যবস্থা করা হলে সাশ্রয় হবে।’

এদিকে, বিনোদন ও ভ্রমণপিপাসুরা মনে করেন, মাওয়া প্রান্তে একটি রিসোর্ট করা হলে রাজধানী ঢাকার পাশে থেকেই পদ্মা সেতু ও পদ্মা নদীর নান্দনিকতা উপভোগের সুযোগ হবে।

মাওয়ায় বেড়াতে আসা আহসান মল্লিক বলেন, ‘মাওয়া পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এখানে প্রতিদিন ভ্রমণপিপাসু অসংখ্য মানুষ আসে। কর্তৃপক্ষ যদি এখানে একটা রিসোর্ট করে তাহলে আমাদের এই ভ্রমণ আরও আনন্দদায়ক এবং নিরাপদ হবে।’

চাকরিজীবী মোতাহার হোসেন বলেন, ‘পদ্মা সেতু, নদী সবই আকর্ষণীয়। কিন্তু একটা সমস্যা হচ্ছে এখানে কোনও রেস্ট হাউস নেই।’

Source link

Related posts

‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ জাদুঘর যেন ইতিহাসের প্রতিচ্ছবি

News Desk

আইভীকে সহযোগিতা করার আহ্বান সেলিম ওসমানের

News Desk

বিপজ্জনক হয়ে উঠছে চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

News Desk

Leave a Comment