ফরিদপুরের ভাঙ্গায় জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৫ জন লোক আহত হয়েছেন। রবিবার (২ নভেম্বর) বিকাল ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামে এ সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে।
এ সংঘর্ষে অনেক ঘরবাড়ি, দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না থাকায় পুলিশ পিছু হটে চলে দূরে দাঁড়িয়ে থাকে।
সংঘর্ষকারীরা দেশীয় অস্ত্র ঢাল, সুরকি, কালি, কাতরা, টেঁটা ও সড়কের ইট ভেঙে মাথায় হেলমেট পরে উভয় গ্রুপ সড়কের দুই পাশে দুই ঘণ্টাব্যাপী মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত থাকে। সংঘর্ষে ইট ও দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে ২৫ জনের বেশি গ্রামবাসী আহত হন। গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা ও ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, গত শুক্রবার জমি-জমা বিরোধ নিয়ে গোপীনাথপুর গ্রামের সাইমন মাতবর ও কুদ্দুস মাতবর বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়।
রবিবার বিকালে সালিশ বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। আশপাশের কয়েক গ্রামের সালিশদাররাও আসেন। সালিশ বসা নিয়ে গোপীনাথপুর গ্রামের দুই দল গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তখন ছোট হামেরদী, খাড়া কান্দি ও বাইশা খালি এলাকার লোকজন দুই দলের পক্ষ নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
বিকাল থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টায়ও সংঘর্ষ চলতে দেখা গেছে। ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপর না থাকায় সংঘর্ষকারীরা গ্রামবাসীর একাধিক ঘরবাড়ি, দোকানপাট ভাঙচুর করে। একইসঙ্গে দামি দামি জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এ রিপোর্ট লেখা সময় পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছে।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার ওসি আশরাফ হোসেন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আমরা পিছু হটি। গ্রামবাসী কোনভাবেই শান্ত করা যাচ্ছিল না। পরে জেলা সদর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এলেই পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করবো।

