সুনামগঞ্জে কমছে নদ-নদীর পানি, জনমনে স্বস্তি
বাংলাদেশ

সুনামগঞ্জে কমছে নদ-নদীর পানি, জনমনে স্বস্তি

গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ভারী বর্ষণ না হওয়ায় ও উজানে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় কমেছে নদ-নদীর পানি৷ সেই সঙ্গে নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। এতে মানুষের মনে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুনামগঞ্জে বৃষ্টি হয়নি। তাই সুরমা, যাদুকাটা, চলতি রক্তি পাটলাই, বলাই ও পিয়াইন নদীর পানি প্রবাহ কমেছে। ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি গত ১২ ঘন্টায় ১৭ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে রাতে বৃষ্টিপাত না হলে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সুরমা নদীর পানি হ্রাস পাওয়ায় নিম্নাঞ্চলের জলাবদ্ধতার পানি অনেকটা কমেছে। শহরের সাহেববাড়িঘাট, তেঘরিয়া, বড়পাড়া, শান্তিবাগ, পশ্চিম নুতনপাড়া, মরাটিলা, সুলতানপুর, পাঠানবাড়ি, হাছনবাহার, হাছনবসত, কালীপুরসহ নিম্নাঞ্চলের পানি নেমেছে। সেইসঙ্গে তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কে পাহাড়ি ঢলের পানি নেমে গেছে। 

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার, ছাতক, ধর্মপাশা, মধ্যনগর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের পানি কমছে। সুরমা নদীর পানি প্রবল স্রোতের টানে ভাটিতে প্রবাহিত হচ্ছে। নতুন করে কোনও এলাকা প্লাবিত হয়নি।

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ভাটিপাড়ার গ্রামের অরুণ বিশ্বাস বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত পানি বাড়লেও বিকালে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ঢলের পানি কমেছে। এতে আমাদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।

দক্ষিণবাদাঘাট ইউনিয়নের শক্তিয়ারখলা গ্রামের আব্দুল মজিদ বলেন, সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর সড়কের ঢলের পানিপ্রবাহ অনেক কমেছে। এভাবে কমতে থাকলে আজ রাতের মধ্যে এই সড়ক দিয়ে তাহিরপুর উপজেলায় যেতে পারবে যানবাহন।

চালবন গ্রামের আব্দুল লতিফ বলেন, হাওরে প্রচুর পানি টানছে। বৃষ্টি কমে যাওয়ায় পানি অনেকটা কমে গেছে। রাতে বৃষ্টি হলে কিছুটা পানি বাড়লেও বন্যা হবে না। বন্যার আশঙ্কা কেটে গেছে।

সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের আব্দুল্লাহপুর গ্রামের খলিল মিয়া বলেন, নদী থেকে হাওরে পানি ঢুকছে। তাই নদীর পানি কমছে। তবে দ্বিতীয় দফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা দিয়ে পাহাড়ি ঢলের পানি হাওরে ঢুকছে। যদি আগামীকাল বৃষ্টি না হয় তাহলে দ্রুত পরিস্থিতির উন্নতি হবে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বুধবার যদি ভারী বর্ষণ না হয় তাহলে পরিস্থিতি দ্রুত উন্নতি হবে। গত ২৪ ঘণ্টায় চেরাপুঞ্জি ও সুনামগঞ্জে স্থানীয় বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তবে সুরমা নদীর পাঁচটি পয়েন্টের মধ্যে ছাতক ও সুনামগঞ্জে বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

Source link

Related posts

বছর না যেতেই ফাটল, ভেঙে ফেলা হলো উপহারের ৩টি ঘর

News Desk

বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে বেড়েছে যানবাহনের চাপ

News Desk

উত্তরের তাপমাত্রা আরও কমেছে  

News Desk

Leave a Comment