সিলেটে ৪ লাখ মানুষ পানিবন্দি, যা বলছেন মেয়র
বাংলাদেশ

সিলেটে ৪ লাখ মানুষ পানিবন্দি, যা বলছেন মেয়র

সিলেট সিটি করপোরেশনের অনেক এলাকাসহ জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল পানির নিচে। পনিবন্দি অবস্থায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন প্রায় চার লাখ মানুষ। আবহাওয়া বিভাগ আগামী কয়েকদিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, আরও বৃষ্টি হলে জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে।

এদিকে নগরবাসীর উদ্দেশে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, বন্যায় আতঙ্কিত না হয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করুন। যাদের বাসায় বৈদুতিক লাইন পানির নিচে ঢুবে গেছে তারা স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানিয়ে সিটি করপোরেশনের সহায়তা নিন। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাত ৯টায় নগর ভবনের সভা কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

জেলা প্রশাসন জানায়, মঙ্গলবার পর্যন্ত সিলেটজুড়ে ৮৬৪টি গ্রাম ও এলাকা প্লাবিত। এসব গ্রাম ও এলাকার ৩ লাখ ৭১ হাজার ৫০৭ জন মানুষ বন্যাকবলিত। এর মধ্যে সিলেট নগরের ৪টি ওয়ার্ডের ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি। জেলা ও মহানগর মিলিয়ে ৬১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে মহানগরে ৮০টি।

সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী জানান, চলমান বন্যায় বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে সিটি করপোরেশন কতৃর্পক্ষ। প্রধানমন্ত্রীও সিলেটের  বন্যা পরিস্থিতির খোঁজ—খবর নিচ্ছেন।

তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বন্যাকবলিত এলাকার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোয় স্থানীয় কাউন্সিলরদের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা শুরু হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোয় রান্না করা খাবারসহ ওষুধ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে। দুর্গত এলাকাগুলোয় সার্বক্ষণিক যোগযোগ রাখছে নগর ভবন। বিদ্যুৎকেন্দ্র রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে।

বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে জেলা প্রশাসন

মেয়র আরও বলেন, অতীতের মতো যেকোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় নগরবাসীর পাশে আছে সিলেট সিটি করপোরেশন। দল-মত নির্বিশেষে সম্মিলিতভাবে এই দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হবে। দুর্ভোগ নিরসনে সহায়তা করতে বিত্তবান ও প্রবাসীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

সিলেট জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার ওমন সানী আকন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, বন্যার পানি বৃদ্ধি ও পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় জেলা প্রশাসনের উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত আছে। বন্যার্তদের স্থাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য ইউনিয়নগুলোতে চিকিৎসা কার্যক্রম অব্যাহত আছে। ভারতে পানি ও বৃষ্টির কারণে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি হচ্ছে। ভারী বৃষ্টি হলে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতিরর অবনতি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

Source link

Related posts

‘এখন বাসা ভাড়ার টেনশন নেই, ঈদে খাবো-আনন্দ করবো’

News Desk

ঝড়ে নয়, জলোচ্ছ্বাসে বিধ্বস্ত সাতক্ষীরা উপকূল

News Desk

মেঘনা-ডাকাতিয়ার পানি বাড়ছে, দুর্ভোগে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ

News Desk

Leave a Comment