Image default
বাংলাদেশ

সাবেক মেয়রসহ ৫ আসামি কারাগারে, রায় ২৪ নভেম্বর

কক্সবাজারের মহেশখালীর চাঞ্চল্যকর খাইরুল আমিন সিকদার হত্যা মামলায় পৌরসভার সাবেক মেয়র সরওয়ার আজমসহ পাঁচ আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (১) আদালতের বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন এ নির্দেশ দেন।

আসামিরা হলেন সাবেক মেয়র সরওয়ার আজম, তাঁর দুই ভাই মৌলভি জহির উদ্দিন ও নাসির উদ্দিন এবং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল আলম ও মো. ইব্রাহিম। আজ বিকেলে প্রিজন ভ্যানে করে আসামিদের কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌসুঁলি সুলতানুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, যুক্তিতর্ক শেষে আদালত আজ রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন। তবে ষষ্ঠবারের মতো রায় ঘোষণার তারিখ পেছাল। আজ আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন এই মামলার ১৬ জন আসামি। তাঁরা সবাই জামিনে ছিলেন। তবে তাঁদের মধ্যে পাঁচজন আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এ মামলার মোট আসামি ২৬ জন। এ মামলা চলার সময়ে সাতজন আসামি মারা গেছেন। এ ছাড়া দুজন পলাতক। ২৪ নভেম্বর রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
মারা যাওয়া আসামিদের মধ্যে আছেন মহেশখালীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুর বক্স, স্থানীয়

বাসিন্দা রহিম সিকদার, আমির হোসেন ও আজিজুল হক। এদিকে মামলার দুই আসামি জহির উদ্দিন ও মো. ইব্রাহিম হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯০ সালের ৯ এপ্রিল বিকেল পাঁচটার দিকে মহেশখালীর গোরকঘাটা বাজারে দুর্বৃত্তের গুলিতে খুন হন তৎকালীন জেলা পরিষদ সদস্য ও তরুণ রাজনীতিক খাইরুল আমিন সিকদার (২৮)। তিনি গোরকঘাটার হামজা মিয়া সিকদারের ছেলে। ওই দিন নিহত খাইরুল আমিনের বড় ভাই মাহমুদুল করিম বাদী হয়ে থানায় মহেশখালীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুর বক্স, পুটিবিলার শামশুল আলম, নাসির উদ্দিন, হামিদুল হকসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ঘটনার তদন্ত করে এজাহারভুক্ত ২৫ জনসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় ওই বছরের ২২ নভেম্বর।

২০০৩ সালের ২৭ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

আইনজীবীরা বলেন, ৩১ বছর আগে ২৮ বছরের যুবক খাইরুল আমিন সিকদারকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পবিত্র রমজানের সময় মহেশখালীর গোরকঘাটা বাজারে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। মামলার ৪৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ইতিমধ্যে ৩৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এটি ৩১ বছরের পুরোনো মামলা। ২০০২ সালে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছিল। ২০২১ সালে এসে শেষ হয় যুক্তিতর্ক। এখন রায়ের অপেক্ষায় আছেন এলাকার মানুষ।

মামলার বাদী মাহমুদুল করিম বলেন, ‘সপ্তমবারের মতো ২৪ নভেম্বর রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করা হয়েছে। আশা করছি, ওই দিন আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে।’ সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুর বক্সের নেতৃত্বে আসামিরা প্রকাশ্যে গুলি করে তাঁর ভাই খাইরুল আমিন সিকদারকে হত্যা করেছিলেন বলে তিনি দাবি করেন।

Related posts

খামারের বর্জ্য যখন আশীর্বাদ

News Desk

এইচএসসির ফরম পূরণ স্থগিত

News Desk

চট্টগ্রামের এক কারাগারে ১৫ দিনে বন্দি বেড়েছে ১০০০

News Desk

Leave a Comment