ভারতের মেঘালয় ও আসাম থেকে আসা ঢলের পানি ও টানা চার দিনের বর্ষণে শেরপুর জেলার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বেড়ে চলছে। এদিকে চেল্লাখালী নদীর পানি বিপদসীমার ১০৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ড এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সোমবার রাতে এই চেল্লাখালী নদীর পানি বিপদসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল।
শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আখিনুজ্জামান জানান, গত চার দিন জেলার বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে। ভোগাই নদীর পানি (নকুগাঁও পয়েন্ট) বিপদসীমার ৩৭৯ সেন্টিমিটার নিচে, নালিতাবাড়ী পয়েন্টে বিপদসীমার ২৫৭ সেন্টিমিটার নিচে ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র পয়েন্টে বিপদসীমার ৬৮৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ অবস্থায় আকস্মিক বন্যার শঙ্কায় রয়েছে এলাকাবাসী।
এদিকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা পড়েছে চরম দুর্ভোগে। জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এখনও জেলায় ছয় শতাংশ ধান টাকা বাকি রয়েছে। এ ছাড়াও কেটে নেওয়া অনেক ধান মাড়াই হয়নি। অনেক কৃষকের খড় এখনও কাঁচা। টানা বৃষ্টিপাতে অনেকের কেটে নেওয়া ধান ও খড় বৃষ্টির পানিতে পচে যাচ্ছে। খেতে পানি বৃদ্ধি হওয়ায় ধান কাটতে সময় বেশি লাগায় শ্রমিকের সংকট তৈরি হয়েছে।
শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন জানান, জেলায় ৯৪ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে এবং বাকি ধান দ্রুত কাটার জন্য কৃষকদেরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আশা করি এক সপ্তাহের মধ্যেই সব ধান কাটা শেষ হবে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, বৃষ্টি ও উজানের ঢলের কারণে পানি বেড়েছে। তবে এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। প্রশাসনের পাশাপাশি সেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।