শেবাচিমে শিক্ষার্থীদের কমপ্লিট শাটডাউন
বাংলাদেশ

শেবাচিমে শিক্ষার্থীদের কমপ্লিট শাটডাউন

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের (শেবাচিম) শিক্ষক সংকট নিরসনে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় কলেজের অ্যাকাডেমিক ভবনের গেটে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ব্যানার টানিয়ে দেয় তারা।

শিক্ষার্থী মো. নাইম ও মো. আজিম জানিয়েছেন, কলেজ প্রতিষ্ঠার পর থেকে একদিনের জন্য শিক্ষকের শতভাগ পদ পূরণ হয়নি। অবসর থেকে শুরু করে বিভিন্ন কারণে শিক্ষক বদলিতে এ সংকট আরও প্রখর হয়ে দেখা দেয়। বিশেষ করে ৫ আগস্টের পর ৩টি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানকে সরিয়ে দিলে ওই বিভাগ ৩টি একেবারে শিক্ষকশূন্য হয়ে পড়ে। এ ছাড়া প্রতিটি বিভাগে শিক্ষক সংকট রয়েছে।

যার প্রভাব ফেলছে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায়। তা ছাড়া শিক্ষক সংকট নিরসনে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা থেকে শুরু করে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হলেও আশ্বাস ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায়নি। এ কারণে আন্দোলনে যেতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

তারা আরও জানান, বর্তমানে ৩৩৪ পদের বিপরীতে ১৭৩টি পদ শূন্য। যা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারে অপ্রতুল। যে কারণে রুটিনমাফিক ক্লাসও হচ্ছে না।

শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক ডা. শিহাব উদ্দিন বলেন, ‘বিভিন্ন সময় অধ্যক্ষের মাধ্যমে শিক্ষক সংকটের বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়। এরপর অধ্যক্ষ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করলে সেখান থেকে শিক্ষক সংকট নিরসনে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানানো হয়। কিন্তু শিক্ষক সংকট আর দূর হয় না, যার প্রভাব ফেলছে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান, অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা এবং চিকিৎসাসেবায় সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।’ শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকেও অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ফয়জুল বাশার বলেন, ‘শিক্ষক সংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে আমিও একমত। এ সংকট বর্তমানে তীব্র আকার ধারণ করেছে। ফেইস-৩-‍এ তিনটি বিষয়, সেই ৩টি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ শিক্ষক শূন্য। কমিউনিটি মেডিসিনে কোনও বিশেষজ্ঞ শিক্ষক নেই। এমনকি পোস্ট গ্রাজুয়েশনেও শিক্ষক নেই। মাইক্রোবায়োলজি ও প্যাথলজি বিভাগের বিশেষজ্ঞ শিক্ষক শূন্য। আর শিক্ষক সংকট কলেজের জন্মলগ্ন থেকেই চলে আসছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে তিন জন শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে। তাদের বদলির আদেশ প্রত্যাহার এবং শূন্যপদ পূরণ করা হবে। এ বিষয়ে মহাপরিচালকের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। আমিও মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, তারাও বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখছেন। সেখান থেকে জানানো হয়েছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে বদলিকৃতদের আদেশ প্রত্যাহার এবং শূন্যপদ পূরণ করা হবে। আমার বিশ্বাস, দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সংকট কেটে যাবে।’

Source link

Related posts

তথ্যমন্ত্রীর সাথে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের সাক্ষাৎ

News Desk

এক বৃষ্টিতে ধুয়ে গেলো প্রার্থীদের পোস্টার

News Desk

আ.লীগের সঙ্গে সংঘর্ষের পর এলাকাছাড়া বিএনপির নেতা-কর্মীরা

News Desk

Leave a Comment