২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো ঢাকায় সার্ক স্নুকার চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম আসরে বাংলাদেশ দল ভালো করতে পারেনি, কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল স্বাগতিক চার খেলোয়াড়কে। প্রায় তিন বছর বিরতির পর শনিবার (২৬ নভেম্বর) শুরু হচ্ছে সার্ক স্নুকার চ্যাম্পিয়নশিপ দ্বিতীয় আসর। এই আসরে ভালো করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বিলিয়ার্ডস অ্যান্ড স্নুকার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাহবুব।
ঢাকা ক্লাব ও বাংলাদেশ বিলিয়ার্ডস অ্যান্ড স্নুকার ফেডারেশনের (বিবিএসএফ) যৌথ উদ্যোগে এবং ডাচ বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘শেখ কামাল সার্ক স্নুকার চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২২’। ২৬ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় এ টুর্নামেন্টে সার্ক দেশভুক্ত ছয়টি দেশ— স্বাগতিক বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান অংশ নিচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দেশের আধুনিক ক্রীড়াঙ্গনের স্বপ্ন দ্রষ্টা শেখ কামালের নামে টুর্নামেন্টটির নামকরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা ক্লাবের সভাপতি খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেল, বিবিএসএফ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাহবুব, টুর্নামেন্ট পরিচালক আসফারুল ইসলামসহ ঢাকা ক্লাবের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
টুর্নামেন্টে মোট ১৪ জন খেলোয়াড় অংশ নেবেন। এর মধ্যে স্বাগতিক বাংলাদেশের ৫ জন। বাকি চারটি দেশের দু’জন করে মোট আট জন খেলোয়াড় অংশ নেবেন। শুধুমাত্র শ্রীলঙ্কা থেকে অংশ নেবেন একজন খেলোয়াড়। গত আসরে ১২ খেলোয়াড় অংশ নিয়েছিলেন। ফাস্ট সার্ক স্নুকার চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা জিতেছিল পাকিস্তানের আশজাদ ইকবাল। টুর্নামেন্টের ফাইনালে তিনি স্বদেশি মোহাম্মদ বিলালকে হারিয়েছিলেন।
শুরু হচ্ছে সার্ক স্নুকার চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় আসর
সম্মেলনে ঢাকা ক্লাবের সভাপতি খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেল তার বক্তব্যে বলেন, ‘এটি আমাদের দ্বিতীয় সার্ক টুর্নামেন্ট। আমরা গর্বিত জাতীর পিতার ছেলের নামে টুর্নামেন্টটি করতে পারছি। এ টুর্নামেন্টের মাধ্যমে খেলাটি সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে চাই। স্নুকার খেলাটি কিছুটা কঠিন হলেও সামান্য মনোযোগ দিলে এখানে সাফল্য পাওয়া সম্ভব।’
আগের আসের খুব একটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ দল। তবে এবার দলটির ৫ খেলোয়াড়কে নিয়ে আশাবাদী বিবিএসএফ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাহবুব বলেন, ‘প্রথম বছর আমরা শেখ কামাল মেমোরিয়াল নামে টুর্নামেন্টটি আয়োজন করেছিলাম। ইনশাআল্লাহ, এটা ধারাবাহিক ভাবে করবো। সরকার থেকে সব ধরনের সুবিধা আমরা পেয়েছি। আমার বিশ্বাস— আমরা এটা ছড়িয়ে দিতে পারবো। বাংলাদেশে গতবার কোয়ার্টার ফাইনালে বাদ পড়েছিল। এবার আশা করি এর চেয়ে ভালো ফল হবে।’
টুর্নামেন্টের প্রাইজমানি কত হবে, এ ব্যাপারে এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি আয়োজকরা। গত আসরে চ্যাম্পিয়ন পেয়েছিলেন আড়াই হাজার মার্কিন ডলার, দ্বিতীয় স্থানকারী দেড় হাজার এবং তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানকারী ৫০০ মার্কিন ডলার প্রাইজমানি পেয়েছিলেন। এখনও প্রাইজনমানি ঠিক না হলেও টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই তা চূড়ান্ত হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন টুর্নামেন্ট পরিচালক আসফারুল ইসলাম।
৫ দিনব্যাপী টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান প্রধান অতিথি হিসেবে ২৬ নভেম্বর দুপুর ১২টায় ঢাকা ক্লাবে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করবেন। ১ ডিসেম্বর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। ওইদিন সন্ধ্যা ৭টায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় আসরের পর্দা নামবে।