বান্দরবানের লামায় কুয়েত প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই মেয়েকে হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে ৫ জনকে ও শনিবার (২২ মে) সকালে একজনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন নিহত মাজেদা বেগমের দেবর মো. শাহ আলম ও মো. আবদুল খালেক , নিহতের বড় বোন রাহেলা বেগম , তার স্বামী মো. আবদুর রশিদ , হাফেজ সাইদুর রহমান ও স্থানীয় যুবক মো. রবিউল হোসেন ।
প্রবাসী নুর মোহাম্মদের বড় স্ত্রীর মেয়ে রাবেয়া ইয়াছমিন বলেন, আমার ছোট মাকে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে, ছোট বোন নুরে জান্নাত রিদাকে গলা টিপে ও মেজো বোন সুমাইয়া ইয়াছমিনকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের সবার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
রাবেয়া ইয়াছমিন আরও বলেন, ধনসম্পদ লুটের কারণে এই খুনের ঘটনা সংঘটিত হতে পারে। গত বৃহস্পতিবার আমার মা তার ব্যাংক একাউন্ট থেকে ২ লাখ টাকা তোলে। আমার ধারণা খুনিরা হয়ত পরিচিত হবে। না হলে তারা অনায়াসে ঘরে কিভাবে ঢুকবে। খুনিরা জোর করে ঢুকলে ঘরের লোকজন চিৎকার দিলে প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসতো। তাছাড়া এমনও হতে পারে খুনিরা আগে থেকে ঘরে ঢুকে ওৎপেতে ছিল।
র্যাব-১৫ এর কোম্পানি কোমান্ডার এএসপি নিত্যান্দ দাস জানান, আমরা যাদের সন্দেহ করছি ইতোমধ্যে তাদের অনেককে পুলিশ আটক করেছে। খুব শীঘ্রই হত্যার ঘটনার ক্লু বের হবে। উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে লামা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের চাম্পাতলী গ্রামে কুয়েত প্রবাসী নুর মোহাম্মদের বসতঘর থেকে তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
লামা পুলিশ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. রিজওয়ানুল ইসলাম জানান, প্রবাসীর ঘরের তালা ভেঙে প্রবেশ করে দেখি মা-মেয়েসহ ৩ জনের লাশ খাটে ও মেঝেতে পড়ে আছে। লাশের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোর ৪টার দিকে বান্দরবান পাঠানো হয়। তিনি আরও জানান, ঘরের আলমিরা, ওয়ারড্রপ খোলে স্বর্ণালংকার লুটপাটের আলামত পাওয়া গেছে।