বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও অমাবস্যার প্রভাবে মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীতে জোয়ারের পানি বেড়েছে। এতে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মেঘনা নদী তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছেন অর্ধলক্ষাধিক মানুষ।
শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকাল থেকে মেঘনা নদীতে পানির উচ্চতা বাড়তে শুরু করে। নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলো (উপজেলা উত্তর চরবংশী, দক্ষিণ চরবংশী, উত্তর চরআবাবিল ও দক্ষিণ চরআবাবিল ইউপি) জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে।
বসতবাড়ি ও সড়কে পানি উঠে গেছে। কারও কারও ঘরের ভেতরেও পানি ঢুকেছে। তবে সন্ধ্যার দিকে নেমে যেতে থাকে। স্থানীয়রা জানান, গত পাঁচ দিন ধরে এ অবস্থা চলছে।
চরলক্ষ্মী, চরকাছিয়া, চরইন্দ্রুরিয়া, চর জালিয়া, গ্রামে সরেজমিনে দেখা যায়, জোয়ারের পানি হু হু করে লোকালয়ে ঢুকছে। নিচু এলাকাগুলো তলিয়ে যাচ্ছে। মেঘনার বিশাল চরে অনেকের মাছের ঘের ও ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চরলক্ষ্মী এলাকার কৃষক মনিরুজ্জামান জানান, ডাকাতিয়া ও মেঘনা নদীর জোয়ারের পানিতে তারা বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। দিনমজুরদের ঘরে পানি ওঠায় তাদের ঘরে চুলা জ্বলছে না। গবাদি পশুগুলো নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। মাঠে থাকা চরের জমিতে আমনের বীজতলা নষ্ট হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকার মেঘনা নদীর তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণে জিও ব্যাগ দিয়ে কাজ চলছে। স্থানীয় কয়েক ব্যক্তির বাধায় কাজ ধীর গতিতে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সরকারি কোনও লোক দেখতে বা কোনও সহযোগিতাও আসেনি।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ উজ জামান খান বলেন, রায়পুরের আলতাফ মাস্টার ঘাট চরইন্দ্রুরিয়া গ্রামের নদীর তীর রক্ষা বাঁধের কাজ বৃষ্টির কারণে কিছুটা ধীরগতিতে চলছে। তবে বাঁধের ৫০ ভাগেরও বেশি কাজ শেষ হয়েছে।