মাসে ৫ লাখ টাকার ডিম বিক্রি করেন মাহাবুব
বাংলাদেশ

মাসে ৫ লাখ টাকার ডিম বিক্রি করেন মাহাবুব

ভাগ্যবদলের স্বপ্ন নিয়ে ১৯৯৩ সালে মালয়েশিয়ায় গিয়েছিলেন মাহাবুবুর রহমান। ২৫ বছর পর দেশে ফেরেন। এরপর বেকার ছিলেন এক বছর। শেষমেশ ইউটিউব দেখে মুরগির খামার দেন। প্রথম বছর সাত লাখ টাকা লোকসান হয়। হতাশ না হয়ে কাজ চালিয়ে যান। পরের বছরই ঘুরে দাঁড়ান। লোকসান কাটিয়ে আলোর মুখ দেখেন। তিন বছরের ব্যবধানে সফল খামারি হিসেবে পরিচিতি পান। 

এখন প্রতিদিন ১৭ থেকে ১৮ হাজার টাকার মুরগির ডিম বিক্রি করেন। এই হিসাবে মাসে পাঁচ লাখ ১০ থেকে পাঁচ লাখ ৫৫ হাজার টাকার ডিম বিক্রি করেন এই খামারি। মাহাবুবুর রহমান যশোরের শার্শা উপজেলার সুবর্ণখালী গ্রামের মৃত তাবারক মুন্সীর ছেলে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২৫ বছর মালয়েশিয়ায় থাকার পর ২০১৯ সালে দেশে ফিরে আর্থিক সংকটে পড়েন মাহাবুব। মালয়েশিয়ায় প্রতিদিন ১৯ রিংগিত রোজগার করতেন। ওই টাকা দিয়ে ঠিকমতো সংসার খরচ চলতো না। নতুন কিছু করার ভাবনা নিয়ে দেশে ফেরেন। এক বছর বেকার বসে থাকার পর ইউটিউবে হাঁস-মুরগি পালনের ভিডিও দেখে উদ্বুদ্ধ হন। সেই সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেন লেয়ার মুরগির খামার দেওয়ার। 

পরিকল্পনা অনুযায়ী নিজ বাড়ির আঙিনায় পতিত জমিতে শেড তৈরি করেন। সেখানে এক হাজার লেয়ার মুরগি পালন শুরু করেন। প্রথম বছর লোকসানের মুখে পড়েন। পরের বছর লোকসান কাটিয়ে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেন। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। 

বর্তমানে তার দুটি মুরগির শেড রয়েছে। সেখানে দুই হাজার ৭০০ মুরগি রয়েছে। এসব মুরগি দিনে দুই হাজার থেকে দুই হাজার ২০০ ডিম দেয়। প্রতি পিস ডিম নয় টাকা দরে বিক্রি করেন মাহাবুব। 

মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘অনেক চিন্তাভাবনা করে নিজের জমিতে শেড দিয়ে মুরগি পালন শুরু করেছিলাম। বর্তমানে দুটি মুরগির শেড রয়েছে আমার। দুই শেডে দুই হাজার ৭০০ মুরগির জায়গা হয় না। আরও দুটি শেড তৈরির কাজ শুরু করেছি। সেখানে কয়েক দিনের মধ্যে দেড় হাজার লেয়ার মুরগির বাচ্চা পালন শুরু করবো। পাশাপাশি বড় মুরগিগুলো ওই শেডে স্থানান্তর করবো। শেড বাড়ানোর মধ্য দিয়ে খামারটি আরও বড় করবো।’ 

তিনি বলেন, ‘এখন প্রতি মাসে পাঁচ লাখ ১০ থেকে পাঁচ লাখ ৫৫ হাজার টাকার ডিম বিক্রি করি। প্রথম বছর লোকসান হলেও বর্তমানে অনেক লাভ হচ্ছে আমার। সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা ছাড়াই আমি এ পর্যন্ত এসেছি। তবে সহযোগিতা পেলে খামারটি আরও আগেই বড় করতে পারতাম।’

শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রুবাইয়াত ফেরদৌস বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খামারি মাহাবুবুর রহমান আমাদের কাছে কোনও সহযোগিতার জন্য আসেননি। খামারিদের আমরা সবসময় সহযোগিতা করি। তিনি আমাদের কাছে এলে সব ধরনের সহযোগিতা করবো।’

Source link

Related posts

৩০ হাজার মানুষের ভরসা একটিমাত্র বাঁশের সাঁকো

News Desk

ডুবেছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক, যান চলাচল বন্ধ

News Desk

৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে জাতীয় পার্টি: জিএম কাদের

News Desk

Leave a Comment