বরগুনা পৌর শহরের মাছ বাজারে মাইকিং করে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। ছোট সাইজের প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা দরে। দাম কমানোর এই মাইকিং শুনে বরগুনার মাছ বাজারে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। গভীর রাত পর্যন্ত চলবে এই ইলিশ বেচাকেনা।
শনিবার (৯ আগস্ট) বিকালের দিকে বরগুনা পৌর মাছ বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বরগুনা পৌর শহরের বিভিন্ন জায়গায় মাইকিং করে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন বিক্রেতারা। প্রতি কেজি ইলিশ ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হওয়ায় ক্রেতারা খুশিতে কিনছেন। সবগুলো ইলিশ বিক্রি হওয়ার আগ পর্যন্ত এভাবেই মাইকিং করে বিক্রি করা হবে। প্রতি কেজি ছোট সাইজের ইলিশের দাম হাঁকা হয়েছে ৫০০ টাকা, যা এর আগে বিক্রি হয়েছিল ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা দরে।
মেহেদী হাসান নামের এক ক্রেতা বলেন, অনেক দিন ধরে ইলিশ মাছ কিনতে পারিনি, দাম নাগালের বাইরে ছিল। দেখলাম, বাজারে মাইকিং করে কম টাকায় ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে, এ বছর এই প্রথম কিনতে এসেছি। ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে তাই ৩ কেজি কিনেছি।
মতিয়ার রহমান নামের একজন ক্রেতা বলেন, মাইকিং শুনে আমি বাজারে ইলিশ কেনার জন্য এসেছি। এ বছর ইলিশের দাম বেশি থাকায় কখনও কেনার সাহস করিনি। তবে আজকের মাইকিং করে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করছে তাই সাহস করে বাজারে এসেছি কিছু মাছ কিনে নেবো।
ইলিশ বিক্রেতা সহিদুল ইসলাম বলেন, পার্শ্ববর্তী জেলা পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটা, মহিপুর থেকে বিকালে কয়েক মণ মাছ বিক্রির জন্য বরগুনার বাজারে নিয়ে এসেছি। স্থানীয় বাজারের দামের তুলনায় মহিপুরে দাম কিছুটা কম থাকায় সেখান থেকে এই মাছ আনা হয়েছে। আমরা কম দামে বিক্রি করছি তাই ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন।
বাজারের মৎস্য ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর বলেন, অনেক দিন ধরে বাজারে ইলিশ ছিল না। সকালে মহিপুর ও আলিপুর থেকে ছোট ছোট ট্রলার বরগুনা বাজারের ঘাটে এসেছে। সেই ট্রলারের জেলেদের থেকে মাছ কিনে বাজরে বিক্রি করছি।
তিনি আরও বলেন, অনেকদিন আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে জেলেরা মাছ ধরতে পারেনি। এখন বাজারে মাছ আসতে শুরু করেছে। এ কারণে মাছের সরবরাহ একটু বেশি এবং দাম তুলনামূলক আগের থেকে কম।
বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মহসিন জানান, অবরোধের পরে জেলেরা গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে যেতে পারেনি আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায়। তবে গত দুই দিনে মাছ ধরার ট্রলার সাগরে যেতে শুরু করেছে। বরগুনায় যেসব ইলিশ আসছে এসব মহিপুর ও আলীপুরের জেলেদের জালে ধরা পড়া।