Image default
বাংলাদেশ

ভারতের ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের উদ্বেগ

দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট (ধরন) শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। সবাইকে এটি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত।

শনিবার (৮ মে) বিকেল সাড়ে ৩টায় স্বাস্থ্য অধিদফতরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে এক জরুরি ব্রিফিংয় তিনি এসব কথা বলেন। নাসিমা সুলতানা বলেন, যশোরে আট ব্যক্তির কাছ থেকে নেওয়া নমুনা যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) এবং আইইডিসিআর আলাদাভাবে পরীক্ষা করেছে। দুই প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষাতেই ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়েছে।

তিনি আরও বলেন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে আটজনের নমুনা পরীক্ষা করে দুজনের শরীরে ভারতীয় করোনার ধরন শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া চারজনের শরীরে ভারতীয় ধরনের খুব কাছাকাছি ধরন শনাক্ত হয়েছে।

ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট কি ডাবল মিউট্যান্ট?

ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ডাবল মিউট্যান্ট কি না, জানতে চাইলে নাসিমা সুলতানা বলেন, আমাদের সিকোয়েন্স এখনও শেষ হয়নি। যতক্ষণ পর্যন্ত সিকোয়েন্স শেষ না হবে, ততক্ষণে আসলে বলা যাচ্ছে না এটা ডাবল মিউট্যান্ট কি না।

তিনি বলেন, যবিপ্রবি উপাচার্যের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, তাদের ল্যাবে কিছু সিকোয়েন্স করে এটি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এখন পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্স করার প্রক্রিয়া চলছে।

ঈদে যারা বাড়ি যাচ্ছে, সবাই ঝুঁকিপূর্ণ

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা বলেন, একটা মানুষ যখন বাড়ি যাচ্ছে তখন ভাবতে হবে সে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি যাচ্ছে। সে শুধু আনন্দ করার জন্যই বাড়ি যাচ্ছে না, সে যাচ্ছে বাবা মাসহ আত্মীয়-স্বজনদের আক্রান্ত করতে। কারণ, যাত্রা পথে তাকে অনেকের সংস্পর্শে আসতে হচ্ছে। ওই ব্যক্তি নিজেও জানে না সে কার কাছ থেকে সংক্রমণ নিয়ে বাড়ি যাচ্ছে।

এর আগে আইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর জানান, রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের একটি নমুনা পরীক্ষায় করোনার ভারতীয় ধরন শনাক্ত হয়েছে, যা জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডাটাতে (জিএসআইডি) প্রকাশিত হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম গণমাধ্যমকে জানান, দেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। এ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগীরা ভারত থেকে ফিরেছেন। তারা চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন। বর্তমানে তারা যশোরে অবস্থান করছেন।

এ প্রসঙ্গে আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর বলেন, এভারকেয়ার হাসপাতালে একটি নমুনা পাওয়া গেছে। সেটি আমি দেখেছি। ধরা পড়েছে বলেই এ ধরনের তথ্য তাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে।

Related posts

'বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে প্রাণীর মৃত্যুর ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে'  

News Desk

চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ের টোল কমানোর প্রস্তাব, চলবে মোটরসাইকেল

News Desk

সকালে চাপ থাকলেও সন্ধ্যায় ফাঁকা বাংলাবাজার-মাওয়া ঘাট

News Desk

Leave a Comment