বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি কাজী নাবিলের শ্রদ্ধা
বাংলাদেশ

বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি কাজী নাবিলের শ্রদ্ধা

বিজয়স্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন যশোর-৩ (সদর ) আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় যশোর শহরের বিজয় স্মৃতিস্তম্ভে তিনি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন।

পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে স্মৃতিস্তম্ভে আগতদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘একাত্তরের পরাজিত শক্তি, পাকিস্তানিদের প্রেতাত্মা বিএনপি-জামায়াত দেশকে আবারও পেছনে নিয়ে যেতে চাইছে। কিন্তু আমাদের সৌভাগ্য দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেয়েছি বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে। তার সুদৃঢ় নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল।’

কাজী নাবিল বলেন, ‘দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা সম্ভব একমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই।’ বক্তব্যের শুরুতেই তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। গভীর শ্রদ্ধা জানান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত সকলের প্রতি।

তিনি বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশেরই জন্ম হতো না।’

নানান অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে যশোরে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হচ্ছে। সকাল সাড়ে ৬ টায় শহরের মণিহার এলাকায় বিজয় স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দেওয়ার মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবন উৎসর্গ ও ত্যাগ স্বীকারকারীদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে যশোরের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ।

সকালে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাসদ, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ, ওয়ার্কার্স পার্টি, মহিলা লীগ,  প্রেসক্লাব যশোর, সাংবাদিক ইউনিয়ন, ডাক্তারদের বিভিন্ন সংগঠন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, বিবর্তন যশোর, যশোর জেনারেল হাসপাতাল, নার্সিং ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন এবং নানা  শ্রেণি-পেশার মানুষের ঢল নামে বিজয়স্তম্ভে।

এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৮টায় যশোর শামসউল হুদা স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ ও মনোজ্ঞ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। কুচকাওয়াজে উপস্থিত থেকে সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার ও পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার।

একই সঙ্গে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে আলোচনা সভা, শহিদ মুক্তিযুদ্ধের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য এবং শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে হাসপাতাল, কেন্দ্রীয় কারাগার, কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার দেওয়া হবে।

Source link

Related posts

সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত সাইদুলের বিষয়ে যা বলছে পরিবার

News Desk

ময়মনসিংহে ডিসির বাসভবনের দেয়াল থেকে মুছে ফেলা হলো জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতি

News Desk

‘ভোট হয় কালো কালিতে, এই সরকারকে বসানো হয়েছে লাল রক্ত দিয়ে’

News Desk

Leave a Comment