যাত্রীবাহী বাসের চাকার নিচে পড়ে মারিয়া সুলতানা (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রী গুরুতর আহত হয়েছে। বুধবার (২৩ জুলাই) যশোর সদর উপজেলার কোদালিয়া বাজারে যশোর-মাগুরা সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় যশোর-মাগুরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা।
আহত মারিয়া সুলতানা লেবুতলা ইউনিয়নের কোদালিয়া গ্রামের মাহবুবুর রহমানের মেয়ে এবং খাজুরা মণীন্দ্রনাথ মিত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনের মতো স্কুলে যাওয়ার জন্য সড়কের পাশে বাস স্টপেজে দাঁড়িয়ে ছিল মারিয়া। যশোর থেকে ছেড়ে আসা মাগুরাগামী যাত্রীবাহী লোকাল বাস সকাল ৯টার পরপরই কোদালিয়া বাজারে এসে থামে। মারিয়া ওই বাসে ওঠার সময় তাড়াহুড়ো করে চালক বাস ছেড়ে দিলে তার কোমরের ওপর দিয়ে বাসের পেছনের চাকা উঠে যায়। এতে মারিয়ার শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। বেলা ১২টার দিকে আহত ওই শিক্ষার্থীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে, ঘটনার পরপরই বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বাসটি ভাঙচুর করে এবং যশোর-মাগুরা মহাসড়ক অবরোধ করে খাজুরা বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। এতে সড়কের দুই পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় এবং চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কোতয়ালি মডেল থানার ওসি আবুল হাসনাত খান ঘটনাস্থলে এসে দ্রুত বাসচালক ও হেলপারকে আটক করার কথা জানালে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়।
জানতে চাইলে খাজুরা মণীন্দ্রনাথ মিত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুরুন্নাহার বলেন, ‘আহত শিক্ষার্থীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে যশোর কোতয়ালি থানার ওসি আবুল হাসনাত খানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি।
এদিকে, বেলা ৩টার দিকে আহত শিক্ষার্থীর সঙ্গে থাকা ওই স্কুলের শিক্ষক জামাল হোসেন বলেন, ‘আমরা এখন ঢাকার যাত্রাবাড়ী পৌঁছেছি। মেয়েটির অক্সিজেন ও রক্ত চলছে। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা হাসপাতালে পৌঁছতে পারবো।’