নড়াইলে বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ রবিবার (১০ আগস্ট) সকাল ৯টায় এসএম সুলতান ফাউন্ডেশন, নড়াইল জেলা প্রশাসন, জেলা শিল্পকলা একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে সুলতান কমপ্লেক্সে শিল্পীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এ সময় জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক জুলিয়া সুকায়না, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লিংকন বিশ্বাস, সুলতান ফাউন্ডেশনের সাবেক সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট ইকবাল হোসেন, জেলা তথ্য অফিসার রোস্তম আলী, নড়াইল প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ও ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য সুলতান মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রশিদ লাবলু, এসএম সুলতান শিশু চারু ও কারুকলা ফাউন্ডেশনের সভাপতি শেখ হানিফ, সুলতান ফাউন্ডেশনের কিউরেটর তন্দ্রা মুখার্জী, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক টিপু সুলতান উপস্থিত ছিলেন।
পরে তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন জেলা মডেল মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা জাকারিয়া হোসাইন। এর আগে সকাল ৬টায় শিল্পীর বাসভবনে কোরখানি অনুষ্ঠিত হয়।
শিল্পী এসএম সুলতান ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইল শহরের মাছিমদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৬-১৯৯৩ সাল পর্যন্ত তার ছবি ভারতের সিমলা, পাকিস্তানের লাহোর, করাচি, নিউইয়র্ক, বোস্টন, মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়, লন্ডন, এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও জার্মান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে প্রদর্শিত হয়।
চিত্রশিল্পী সুলতান ১৯৮২ সালে একুশে পদক, ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদক পান। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের রেসিডেন্ট আর্টিস্ট এবং ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ চারুশিল্পী সম্মাননা পান তিনি। সুলতানের স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য তার নিজ বাড়িতে নির্মিত হয়েছে এসএম সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালা।
১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর চিরকুমার এই শিল্পী দীর্ঘদিন শ্বাসকষ্টে ভোগার পর যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। নড়াইলের নিজ বাড়ির আঙিনায় তাকে সমাহিত করা হয়।