বান্দরবানের লামায় কুয়েত প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই মেয়েকে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন প্রবাসী নুর মোহাম্মদ ও তার পরিবারের ১৩ সন্দেহভাজন সদস্য কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে প্রবাসী নুর মোহাম্মদের দু’ভাই আব্দুল খালেক ও শাহ আলমকে ৩দিন করে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। শনিবার (২৯ মে’২১) দুপুরের পর লামার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমানের আদালতে হাজির করে তাদের ৭দিন করে রিমান্ড আবেদন করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। তবে আদালত শুনানী শেষে তাদের দু’জনের ৩দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে। লামা পৌসভার চাম্পাতলীতে মাত্র ১০ মাস বয়সী শিশুকন্যা’সহ তিনজনকে খুনের ঘটনায় এবার প্রবাসী বাবা নুর মোহাম্মদকে শুক্রবার বিকেলে তার নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। শুধু তাকেই নয়! তার পরিবারের মোট ১০সদস্যের মধ্যে প্রবাসী নুর মোহাম্মদ’র বড় ভাই আব্দুল খালেক, ছোট ভাই শাহ আলম এবং দু’ভাইয়ের স্ত্রী আরও স্বজরা রয়েছেন। লামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান আদালত শুনানী শেষে তাদের দু’জনের ৩দিন করে রিমান্ডের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন এখন পর্যন্ত মামলার দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। সন্দেহভাজন ১৩জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকের পর প্রবাসী নুর মোহাম্মদের দু’ভাই আব্দুল খালেক ও শাহ আলমকে ৩দিন করে রিমান্ডে নিয়েছে। এটা একটি সংঘবন্ধ চক্রের কাজ। এদের বের করতে একটু সময় লাগছে। আশা করি অতিদ্রুত একটি সংবাদ দিতে পারবো। এরআগে বুধবার দিনগত রাতে অভিযান চালিয়ে আব্দুল মান্নান (১৯) নামে স্থানীয় এক তরুনকে আটক করেছে। একই ঘটনায় আটক করা হয়েছে গেল রমজানে প্রবাসী নুর মোহাম্মদের বাসায় পার্শ্ববর্তী মসজিদে তারাবির নামাজ পড়ানো হাফেজ সাইদুর রহমান এবং তার ভাইকে। আর উত্তম বড়ুয়া (৩৪) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় এরআগে প্রসাবী নুর মোহাম্মদের দু’ভাই আব্দুল খালেক, শাহ আলম , মৃত মাঝেদার ভগ্নিপতি আব্দুর রহিম ও তার স্ত্রী রাহেলা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয় পুলিশ। ওই সময় টানা ২৪ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর মুচলেকায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য : গত ২০ মে (শুক্রবার) দিনগত রাত তিনটার দিকে লামা পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের চাম্পাতলী গ্রামের তালাবব্ধ বাসা থেকে প্রবাসী নুর মোহাম্মদের দু’কন্যা নুর-এ জান্নাত রীদা প্রকাশ নুরী (১০) ও সুমাইয়া ইয়াছমিন প্রকাশ রাফি (১৬) এবং স্ত্রী মাজেদা বেগম (৩৭) এর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতদের মধ্যে প্রবাসীর কন্যা রাফি ও তার মা মাজেদা বেগম এর শরীরে ধর্ষণের আলামত রয়েছে। একইভাবে তাদের তিন জনের শরীর, কপাল, পিঠ ও বুকে রক্তাক্ত যখমের চিত্র। এই ঘটনায় মৃত মাজেদা বেগমের মা লাল মতি বেগম বাদী হয়ে ২১ মে (শনিবার) লামা থানায় অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
সূত্র ::দা ডেইলি সাঙ্গু