পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, ‘প্রথম পর্বের মুসল্লিরা বুঝিয়ে দেওয়ার পর পুরো ইজতেমা এলাকা আমরা আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর যখন সন্তুষ্ট হবো তখন আমরা ওনাদেরকে (সাদ) আমন্ত্রণ জানাবো আপনারা আসেন। এজন্যই স্পেস (সময়) রেখেছি। ওনাদের নিরাপত্তার স্বার্থেই আমরা স্পেস বাড়িয়েছি। সবার মতামত নিয়েই আমরা মাঝখানে স্পেস বাড়িয়েছি। আমাদের পুরো নিরাপত্তাব্যবস্থা সবাই একই সঙ্গে রিয়েক্ট করতে পারবে।’
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় পুলিশ ইজতেমা মাঠ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘দুই পক্ষ একমত হওয়ায় আমরা আশা করি এবারের ইজতেমা সুন্দর হবে। ইজতেমায় আয়োজকদের ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী আমাদের সঙ্গে থাকবেন। তাদের আলাদা একটি পরিচয়পত্র থাকবে।’
নিরাপত্তার বিষয়ে আইজিপি বলেন, ‘পাঁচটি সেক্টরে ভাগ করে নিরাপত্তাকে সাজানো হয়েছে। র্যাব, ডিজিএফআই, এনএসআই, জেলা প্রশাসক, সিটি করপোরেশন, সড়ক জনপথ, ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে সমন্বয় সভা করে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছি। ড্রোনের মাধ্যমে আমরা পুরো এলাকা মনিটর করবো যেন কোথাও কোনও ধরনের ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। ১৬টি ওয়াচ টাওয়ার থাকবে। ওয়াচ টাওয়ার থেকে বাইনোকুলার দিয়ে পুরো মাঠ দেখবো, ১৫টি সাব কন্ট্রোল কক্ষ থাকবে। সকলের সুবিধামতো সাব কন্ট্রোল কক্ষে রিপোর্ট করলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবো, পুরো মাঠ ৩৩৫টি সিসি ক্যামেরার আওতাধীন থাকবে। ট্রাফিক ব্যবস্থা সুন্দর হওয়ার জন্য ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রাক এ সড়ক দিয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না। মোনাজাতের দিন কোনও গাড়ি চলতে দেওয়া হবে না ইজতেমা এলাকায়। র্যাবের হেলিকপ্টার টহল থাকবে, বোম ডিসপোজাল ইউনিট এবং ডগ স্কোয়াড থাকবে। আমরা আশা করি, কোনও অঘটন ঘটবে না।’
প্রসঙ্গত, ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় ধাপ ৩ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি। আট দিন বিরতির পর ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সাদপন্থিরা ইজতেমা করবেন। ১৬ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে এ বছরের বিশ্ব ইজতেমা।