পুলিশি তৎপরতায় স্বস্তি ফিরেছে ব্রহ্মপুত্র নৌপথে
বাংলাদেশ

পুলিশি তৎপরতায় স্বস্তি ফিরেছে ব্রহ্মপুত্র নৌপথে

পুলিশি নজরদারি বাড়ায় কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর উপজেলাধীন ব্রহ্মপুত্র নৌপথে স্বস্তি ফিরেছে। ফলে চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারির পর গত চার মাসে ডাকাতি ও ডাকাত আতঙ্ক থেকে মুক্তি মিলেছে নৌযাত্রী ও চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের। নিরাপত্তা নজরদারি বাড়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অপরাধ দমনে কুড়িগ্রামের চিলমারীর দুর্গম চরাঞ্চলে গোয়েন্দা তৎপরতাসহ পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে। নৌপথের পাশাপাশি আকাশে নিয়মিত ড্রোন উড়িয়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নৌপথকে বিশেষ নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ রুটে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), নৌপুলিশসহ থানা পুলিশ টহল জোরদার করেছে। বিশেষ করে হাটের দিনগুলোতে এ নজরদারি কঠোরভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে৷

উপজেলার জোড়গাছ হাট, রমনা ঘাট, কাঁচকোল, ফকিরের হাট, চিলমারী ইউনিয়নের চরগুলোসহ বিভিন্ন স্থানে নৌযানে করে টহলের পাশাপাশি ড্রোন উড়িয়ে বিশেষ নজরদারি করছে পুলিশ।

চিলমারী ইউনিয়নের বাসিন্দা মাইদুল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ শুরু হওয়া ডাকাতি এখন নাই বললেই চলে। পুলিশ অনেক তৎপর। এখন মাঝেমধ্যে আকাশে ড্রোন উড়তে দেখা যায়। এর ফলে মাদক কিংবা চোরাকারবারিসহ ডাকাতির সঙ্গে জড়িত অপরাধীরা আতঙ্কে থাকে। এ অঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ায় পুলিশ ও প্রশাসনকে ধন্যবাদ।’

আসমা খাতুন নামে এক নৌযাত্রী বলেন, ‘নৌপথে নারীদের আলাদা ভয় থাকে। কয়দিন আগে ডাকাতির ঘটনায় ভয় বেড়ে গেছিল। এখন পুলিশ টহল দেওয়ায় আমরা সাহস পাই। পুলিশের নজরদারি থাকলে সবার জন্য ভালো।’

স্থানীয় ব্যবসায়ী মাহফুজার বলেন, ‘এখন হাটের দিন ব্রহ্মপুত্র নদের বিভিন্ন স্থানে নৌকায় পুলিশ সদস্যদের অবস্থান নিতে দেখা যায়। এতে কয়েকদিন আগে মানুষের মনে যে ডাকাতের ভয় ছিল তা কেটে গেছে।’

চিলমারী নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইন চার্জ (আইসি) ইমতিয়াজ কবির বলেন,  চিলমারীর জোড়গাছে সপ্তাহে রবি ও বুধবার করে বড় আকারে হাট বসে ৷ হাটের দিন ক্রেতা-বিক্রেতাদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে পুলিশি তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। জেলা পুলিশের সঙ্গে ডিবি ও নৌপুলিশ যৌথ নজরদারি বাড়িয়েছে। ফলে হাটের দিনের পাশাপাশি অন্যান্য দিনগুলোতেও মানুষের যাতায়াতে স্বস্তি ফিরেছে। এখন নৌপথে ভোগান্তি নেই।’

‘মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে জুন পর্ন্ত ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে অন্তত এক হাজার অবৈধ চায়না জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। নদের পরিবেশ স্বাভাবিত রাখতে জেলা পুলিশসহ আমরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। সবার সহযোগিতা পেলে সেবার মান আরও বাড়বে, ‘ যোগ করেন আইসি।

কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘চিলমারী নদীবন্দর ও নৌপথে অপরাধ প্রতিরোধের জন্য টহল জোরদারসহ সার্বক্ষণিক ড্রোন মনিটরিং চলছে। অতিরিক্ত পুলিশি তৎপরতায় নৌডাকাতি দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে। আমরা ওই নৌপথসহ গোটা জেলাকে শতভাগ নিরাপদ করে গড়ে তুলবো। আমি সবার সহযোগিতা চাই।’

Source link

Related posts

নতুন বছরে কক্সবাজারে নেই আশানুরূপ পর্যটক

News Desk

‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা করতে সরকারকে বাধ্য করা হবে: নাহিদ ইসলাম

News Desk

কারা ফটকে বিক্ষোভের পর মুক্তি পেলেন জামাতুল আনসারের ‘নায়েবে আমির’ মহিবুল্লাহ

News Desk

Leave a Comment