পৃথক ঘটনায় নীলফামারীর সৈয়দপুরে অজ্ঞাত এক যুবক (৩০) ও ডোমার উপজেলায় নিখোঁজ যুবক নারায়ন চন্দ্র রায়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে দুই যুবকের মরদেহ জেলার মর্গে ময়না তদন্ত করা হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের বড়গাছা গ্রামের মৃত জিতেন্দ্রনাথ রায়ের ছেলে চব্বিশ বছরের নারায়ন চন্দ্র রায়। সে গত মঙ্গলবার(১৮ মে) হতে নিখোঁজ ছিল।
মা চাম্পা রানী জানান, ছেলে নিখোঁজের ঘটনায় গতকাল বুধবার(১৯ মে) থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করি। বৃহস্পতিবার ভোরে জানতে পারি গ্রামের অদুরে একটি গাছে আমার ছেলের লাশ ঝুলছে। মা চাম্পা রানীর অভিযোগ কোন দুষ্টচক্র আমার ছেলেকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে গেছে।
ডোমার থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঘটনাটি রহস্যজনক। ময়না তদন্তের রির্পোট পেলে বোঝা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।
অপর দিকে জেলার সৈয়দপুর থানা পুলিশ তিরিশ বছরের এক অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে উপজেলা হাসপাতাল থেকে। গতকাল বুধবার(১৯ মে) মধ্যরাতে এই লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিন রাতে সৈয়দপুর-দিনাজপুর সড়কের শ্বাষকান্দর মোড়ে অজ্ঞাত ওই যুবককে পরে থাকতে দেখে কয়েকজন মানুষ ভ্যানে করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার দুই পায়ের হাঁটুর নীচে ও হাতের কবজির উপরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের রক্তাত্ব জখম ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে দূর্বৃত্বরা তাকে হত্যা করতে পারে।
সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডাঃ অসিম রায় সাংবাদিকদের জানান, রাতে কয়েকজন মানুষ ভ্যানে করে মরদেহটি হাসপাতালে নিয়ে আসে। পুলিশকে খবর দেয়া হলে রাতেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সৈয়দপুর সার্কেল) সারোয়ার আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, আপাতত প্রাথমিক তদন্ত ও মরদেহের পরিচয় শনাক্তে সৈয়দপুর থানা পুলিশ কাজ করছে। যেখানে খুনের ঘটনাটি ঘটেছে সেটি দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার সোনাপুকুর নামক স্থানে। মামলাটি পার্বতীপুর থানায় স্থানান্তর করা হলেও নীলফামারী জেলার মর্গে লাশের ময়না তদন্ত করা হয়।