নবাবি পোশাকে রাকসু নির্বাচনের প্রচারণায় আব্দুল্লাহ আল কাফী
বাংলাদেশ

নবাবি পোশাকে রাকসু নির্বাচনের প্রচারণায় আব্দুল্লাহ আল কাফী

দুর্গাপূজার ছুটি শেষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের প্রচার জমে উঠেছে পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে। যেখানে অধিকাংশ প্রার্থী পোস্টার, লিফলেট ও গণসংযোগের মাধ্যমে ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন, সেখানে অভিনব উপায়ে সবার নজর কাড়লেন এক প্রার্থী।

ছাত্রদল মনোনীত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কাফী সোমবার (৬ অক্টোবর) নবাব সিরাজউদ্দৌলার পোশাকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে প্রচার চালান। তার এই ব্যতিক্রমী সাজ শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

নবাব সিরাজউদ্দৌলার সাজে প্রচার চালানোর কারণ জানতে চাইলে কাফী বলেন, ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা ছিলেন বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব। তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন বাংলার স্বাধীনতা রক্ষা করতে, কিন্তু নানা ষড়যন্ত্রের কারণে পরাজিত হন। আজ আমি তার সাজে শুধুই প্রচার চালাতেই আসিনি, এসেছি এক ধরনের প্রতিবাদের জায়গা থেকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মনে হচ্ছে, আমাদের বর্তমান সংস্কৃতির ওপর আবারও কোনও লর্ড ক্লাইভের আক্রমণ নেমে এসেছে। সেই প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবেই আমি ভোটারদের কাছে এসেছি। যেন পলাশীর যুদ্ধে নবাব হেরে গেলেও, এই নির্বাচনে আমায় যেন তারা হারতে না দেন। নির্বাচিত হতে পারলে ক্যাম্পাসে মুক্ত ও প্রগতিশীল সংস্কৃতির চর্চা ফের জোরদার করতে চাই।’

ছুটির পর দ্বিতীয় দিনের মতো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-রাকসু নির্বাচনের প্রচারণা হয়েছে উৎসব মুখর পরিবেশে। প্রার্থীরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় লিফলেট বিলি করে তাদের প্রচারণা চালাচ্ছেন। তবে এখনও ছুটি শেষে শিক্ষার্থীরা বাড়ি থেকে সবাই আসেনি বলে অভিযোগ করেছেন প্রার্থীরা।

এ অবস্থায় সোমবার সকাল থেকে ক্যাম্পাসের ক্যান্টিন, খাবার দোকান, আড্ডার স্থল আর অ্যাকাডেমিক ভবনগুলোর সামনে লিফলেট বিতরণে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের। দিচ্ছেন রাকসু নিয়ে নানা প্রতিশ্রুতি।

এর আগে, গত ২০ সেপ্টেম্বর প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধার দাবিতে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের শাটডাউন কর্মসূচির কারণে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ছাড়তে থাকেন। এতে নির্বাচন কমিশনের এক জরুরি সভায় ভোটগ্রহণের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে ১৬ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়। সেই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতেই প্রচারে সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।

উল্লেখ্য, রাকসুর ২৩টি পদে লড়ছেন ২৪৭ প্রার্থী। এর মধ্যে ভিপি পদে ১৮, জিএস পদে ১৩ এবং এজিএস পদে ১৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার ২৮ হাজার ৯০১ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫ এবং ছাত্র ১৭ হাজার ৫৯৬। এছাড়া সিনেট নির্বাচনে ৩০৬ জন এবং হল সংসদে ৬০০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

Source link

Related posts

হিলি-বেনোপোলে ভিড়, ইমিগ্রেশনে হয়রানির অভিযোগ

News Desk

বিনা খরচে একসঙ্গে ১৬ জনের বিয়ে, পেলেন কক্সবাজারে ফ্রি হানিমুন প্যাকেজ

News Desk

উপহারের ঘরে প্রথম ঈদ

News Desk

Leave a Comment