ধান শুকানোর নেট সেলাইয়ে ব্যস্ত সময় পার 
বাংলাদেশ

ধান শুকানোর নেট সেলাইয়ে ব্যস্ত সময় পার 

দিনাজপুরের হিলিতে অধিকাংশ জমির বোরো ধান পেকে যাওয়ায় কৃষকরা ইতোমধ্যে ধান কাটতে শুরু করেছেন। এ কারণে ধান মাড়াই ও শুকানোর কাজে ব্যবহৃত নেটের চাহিদা বেড়েছে। কৃষকরা তাদের চাহিদামতো বিভিন্ন আকারের নেট তৈরি করে নিতে দর্জিদের কাছে ভিড় করছেন। এতে কাজ বেড়েছে স্থানীয় দর্জিদের। এতে দৈনন্দিন আয় বাড়ায় খুশি তারা।

বৃহস্পতিবার (১২ মে) সরেজমিনে হিলি বাজারের কাপড়পট্টি ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে অবস্থানরত আট জন দর্জি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নেট তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কোনও কোনও দর্জি বাড়তি আয়ের জন্য রাত পর্যন্ত কাজ করছেন। হিলিসহ আশপাশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকরাও তাদের চাহিদামতো বিভিন্ন সাইজের নেট তৈরি করে নিচ্ছেন।

হিলি বাজারে নেট তৈরি করতে আসা কৃষক জাহাঙ্গীর হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘চলতি মৌসুমে সাত বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছি। আমার জমির অধিকাংশ ধান পেকেছে। তাই ধান কাটার প্রস্তুতি নিয়েছি। কিন্তু ধান রাখা বা মাড়াই করার চাতাল নেই। এ কারণে সড়কের পাশে ধান রেখে মাড়াই করতে হবে। আর শুধু মাটির ওপর ধান রাখলে অনেক ধান নষ্ট হবে। তাই বাজার থেকে নেট কিনে দর্জির কাছে বানিয়ে নিতে এসেছি। এটিতে রাখলে কোনও ধান নষ্ট হবে না। মাড়াই শেষে এই নেটেই ধান শুকানোর কাজ করা যাবে।’

হিলি বাজারে নেট সেলাইয়ে ব্যস্ত দর্জি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘কয়েকদিন হলো হিলিতে বোরো ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। ফলে কৃষকরা ধান উঠানো ও শুকানোর কাজে ব্যবহারের জন্য নেট বানিয়ে নিতে ভিড় করছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করে তাদের পছন্দমতো নেট তৈরি করে দিচ্ছি। নেট তৈরির এত চাপ, অন্য কাজ করার সময় পাচ্ছি না। কয়েকদিন ধরেই এমন অবস্থা। এতে আমাদের আয়-রোজগারও ভালো হচ্ছে।’

অপর দর্জি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘ধান মাড়াইয়ের সময় এগিয়ে আসায় কাজের চাপ বেড়েছে। দিনে চার-পাঁচটি নেট তৈরির চাহিদা থাকলেও সারাদিন কাজ করে সর্বোচ্চ দুটি নেট সেলাই করা যাচ্ছে। কেউ কেউ সন্ধ্যার পরেও কাজ করে তিনটি নেট সেলাই করছেন।’

তিনি আরও বলেন, গত বছর নেট বানানোর মজুরি ছিল ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। কিন্তু এবার সুতার দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রতিটি নেট সেলাইয়ে আকারভেদে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কাজের বাড়তি চাপ রয়েছে। আগামী এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে কাজের এমন চাপ থাকবে বলে জানান তিনি। 

Source link

Related posts

৩০ বছর পর বাড়ি ফিরলেন নিখোঁজ গৃহবধূ, স্বজনরা জানতেন মারা গেছেন

News Desk

রামেক ইউনিটে আরও ১৪ জনের মৃত্যু

News Desk

ভোলায় পুকুরে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু

News Desk

Leave a Comment