ধলাই নদীর বাঁধে ২০০ ফুট জুড়ে ভাঙন
বাংলাদেশ

ধলাই নদীর বাঁধে ২০০ ফুট জুড়ে ভাঙন

কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার চৈত্রঘাট এলাকায় ধলাই নদীর বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তীব্র স্রোতে প্রায় ২০০ ফুট এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, উজানের ঢল ও স্থানীয় বৃষ্টিপাতের ফলে মঙ্গলবার দিনগত রাত ৩টার দিকে বাঁধে ফাটল ধরে। ধীরে ধীরে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করতে শুরু করে। বুধবার (১৯ জুন) বেলা দেড়টার দিকে বাঁধের প্রায় ২০০ ফুট এলাকা ভেঙে আশেপাশের গ্রামগুলোতে পানি প্রবেশ করতে থাকে।

এদিকে বেলা ১টার পর থেকে শ্যামেরকোনা বাজারের অদূরে মৌলভীবাজার-কমলগঞ্জ সড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় এই সড়কে যান চলাচলে সাময়িক সমস্যা দেখা দিয়েছে। সড়কে এক থেকে দেড় ফুট পানি রয়েছে। তবে প্রাইভেটকার, সিএনজি অটোরিকশা ও টমটম চলাচল করতে দেখা গেছে।

এদিকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে উপজেলার মুন্সীবাজার ইউনিয়নের ছয়কুট, মুন্সীবাজার, চৈত্রঘাট, প্রতাপীসহ আশেপাশের গ্রামগুলোতে পানি উঠতে শুরু করেছে। এসব গ্রামের নিম্নাঞ্চল ভরাট হয়ে পানি ঘরবাড়িতেও উঠতে শুরু করেছে।

মৌলভীবাজারে ২ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সাত উপজেলার সবগুলোতেই বন্যা বা জলাবদ্ধতার খবর পাওয়া গেছে। মৌলভীবাজার সদর, কমলগঞ্জ, বড়লেখা, জুড়ী, রাজনগর, শ্রীমঙ্গল ও কুলাউড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিভিন্ন এলাকার লোকজন ঘর থেকে বের হতে ভোগান্তির মুখে পড়ছেন।

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের মাতারকাপন, বলিয়ারভাগ, সাবিয়া, শ্যামেরকোনাসহ বিভিন্ন গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। এছাড়া মনু নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল জানান, ধলাই নদীর বেশ কয়েকটি স্থানে নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন রোধে কাজ চলছে। মনু, ধলাই ও জুড়ী নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

 

Source link

Related posts

উন্নত জাতের আমে ঝুঁকছেন রাজশাহীর চাষিরা

News Desk

বাস-ইজিবাইক সংঘর্ষে ২ জন নিহত

News Desk

নদ থেকে অবৈধভাবে তোলা বালুতে পৌরসভার চত্বর তৈরি করছেন প্যানেল মেয়র

News Desk

Leave a Comment