Image default
বাংলাদেশ

ঢাকার থানায় নিরাপত্তা জোরদার, প্রস্তুত এলএমজি ও বাঙ্কার

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের প্রতিটি থানায় নিরাপত্তার জোরদার করা হয়েছে। প্রতিটি থানায় বসানো হয়েছে লাইট মেশিনগান (এলএমজি) ও চাইনিজ রাইফেল সম্বলিত চৌকি। বালুর বস্তা দিয়ে তৈরি চৌকিতে সর্বদা প্রস্তুত রাখা হয়েছে পুলিশ সদস্যের। এই থানাগুলোতে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ সদস্যরা নিয়জিত থাকবে বলে জানা গেছে। মতিঝিল বিভাগের পাশাপাশি ওয়ারী বিভাগের থানাগুলোতেও একই ধরনের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।

সোমবার (১২ এপ্রিল) রাতে মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, মতিঝিল বিভাগের মতিঝিল থানা, সবুজবাগ থানা, খিলগাঁও থানা, পল্টন মডেল থানা, রামপুরা থানা, মুগদা থানা ও শাজাহানপুর থানায় বালুর বস্তা দিয়ে চৌকি তৈরি করে সেখানে এলএমজি ও চাইনিজ রাইফেল দিয়ে পুলিশ সদস্যের ডিউটিতে নিয়োজিত রাখা হয়েছে।

সৈয়দ নুরুল ইসলাম আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি ও থানার বাড়তি নিরাপত্তায় গত কয়েকদিন আগেই থানাগুলোতে ভারি অস্ত্র বসানো হয়েছে। পুলিশ সদস্যদের দিয়ে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বিভিন্ন পয়েন্টে।

ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) শাহ ইফতেখার আহমেদ জানিয়েছেন, এই বিভাগের থানাগুলোতেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোর জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বালুর বস্তা দিয়ে থানার সামনে বসানো হয়েছে চিরাপত্তা চৌকি। চৌকিগুলোতে এলএমজি ও চাইনিজ রাইফেলসহ পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার রয়েছে।

তিনি বলেন, ওয়ারী বিভাগের ওয়ারী থানা, ডেমরা থানা, শ্যামপুর থানা, যাত্রাবাড়ী থানা, গেন্ডারিয়া থানা ও কদমতলি থানায় এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার রয়েছে।

এদিকে, রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) আর এম ফয়জুর রহমান বলেন, ডিএমপির প্রতিটি থানাতেই সব সময় সিকিরিউড থাকে। এরপরও কোনো ধরনের যাতে নিরাপত্তার ঘাটতি না হয়, সেজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। তবে এলএমজি অনেক ভারি অস্ত্র, রমনা বিভাগের থানাওগুলোতে এলএমজি রাখা হয়নি।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার ঢাকার সব থানার নিরাপত্তা বৃদ্ধির নির্দেশনা দেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। থানার আশপাশে ২৪ ঘণ্টা টহলের নির্দেশনা দেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাণ্ডব চালায় হরতাল সমর্থনকারীরা। বিশেষ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল বিশ্বরোড মোড়ে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানায় হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয় কয়েকটি অস্ত্র।

ওই হামলাকারীদের মধ্যে ছিল উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশু-কিশোর। হামলাকারীরা থানা কম্পাউন্ডের ভেতরে রাখা সাঁজোয়া গাড়িতে (এপিসি) আগুন ধরিয়ে দেয়। একই সময়ে হামলাকারীরা থানার সরকারি দুটি পিক-আপ ভ্যান ও ২০ টনের একটি রেকার পুড়িয়ে দেয়। থানার সামনে বিভিন্ন মামলার আলামত হিসেবে রাখা দুটি লেগুনা, দুটি ব্যক্তিগত গাড়ি ও ১০-১২টি মোটরসাইকেলেও আগুন দেয়া হয়। পরে থানা কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করার চেষ্টা করে হামলাকারীরা।

Related posts

একই দিনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারত-পাকিস্তানের হাইকমিশনার

News Desk

আসছেন প্রধানমন্ত্রী, পদ্মা পাড়ে উৎসবের আমেজ

News Desk

পরকীয়ার জেরে ঔষুধ কোম্পানীর কর্মকর্তাকে গলাকেটে হত্যা

News Desk

Leave a Comment