টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাব্বির হোসেনের ওপর হামলার অভিযোগে মিনহাজ উদ্দিন (৫০) নামে এক পোস্টমাস্টারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৬ মার্চ) দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা টাঙ্গাইল সদর থানার এসআই মোরাদুজ্জামান জানান, শুক্রবার দুপুরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মিনহাজ উদ্দিন টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে। তিনি বাসাইল উপজেলায় পোস্টমাস্টার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। একই মামলায় গত ২৩ মার্চ করটিয়া বেপারীপাড়া এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে মিরাজকে (২০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন। আহত সাব্বির হোসেন সদর উপজেলার ঢেলিকরটিয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
মামলা ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সাব্বির একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। গত ১৫ মার্চ সকালে তিনি অফিসে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন। ঢেলিকরটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে পৌঁছালে এলাকার একদল দুর্বৃত্ত দেশি অস্ত্র নিয়ে তাকে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করে। এ সময় মাথা, হাত ও পায়ে জখম হয়ে রাস্তার ওপর পড়ে যান। তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় তার মা সাফিয়া বেগম ২১ মার্চ ১৩ জনকে আসামি করে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করেন।
এদিকে, এ হামলার প্রতিবাদ ও অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবিতে ২২ মার্চ দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
সাফিয়া বেগম বলেন, ‘আমার ছেলের ওপর হামলার উপযুক্ত বিচার চাই। আমার ছেলে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।’
এসআই মোরাদুজ্জামান বলেন, ‘এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হামলা হয়েছে। আহত সাব্বিরের মা ১৩ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
টাঙ্গাইলের ডেপুটি পোস্টমাস্টার (জেনারেল) মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, ‘বাসাইল উপজেলা পোস্টমাস্টারকে গ্রেফতারের বিষয়টি আমরা শুনেছি। কোনও কর্মচারী যেকোনও মামলায় গ্রেফতার হলে সরকারি আইনে তাকে সাসপেন্ড করা হয়। অফিস খুললে তথ্য সংগ্রহ করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’