পাহাড় ধসের আশঙ্কায় চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন স্থানে লোকজনকে সচেতন করতে মাইকিং করছে জেলা প্রশাসন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে। খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র।
সক্রিয় নিম্নচাপের প্রভাবে চট্টগ্রামে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এ কারণে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। এ ছাড়া ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে ভূমিধসের পূর্বাভাসও রয়েছে। তাই ক্ষয়ক্ষতি রোধে জেলা প্রশাসন বৃহস্পতিবার রাত থেকে মাইকিং শুরু করে, যা শুক্রবারও অব্যাহত ছিল।
জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মো. আল আমিন হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘পাহাড় ধসে ক্ষতি এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার থেকে দুটি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। পাহাড় সংলগ্ন ৩০ থেকে ৪০ ফুট দূরুত্বে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ ঘরগুলোর বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে পাঠানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। পাশাপাশি ফিরোজশাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যলয় ও লেকসিটি সংলগ্ন বি ব্লক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।’
আশ্রয়কেন্দ্রে যারা অবস্থান করবেন তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হবে বলেও এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা মো. ইসমাইল ভূঁইয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে আজ শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৯৮ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। চট্টগ্রামে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। গভীর নিম্নচাপ এবং মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃষ্টিপাত আরও ২-৩ দিন অব্যাহত থাকবে।’
পাহাড় ধসের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা।