Image default
বাংলাদেশ

খুলনা বিভাগে করোনায় এক মাসে ৭৮৪ জনের মৃত্যু

এক মাস আগেও দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের তালিকায় প্রতিদিন ঢাকা ও চট্টগ্রাম শীর্ষে থাকত। তবে বর্তমানে ধারবাহিকভাবে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে মৃত্যুর শীর্ষে রয়েছে দেশের দক্ষিণের বিভাগ খুলনা। বুধবার (৭ জুলাই) ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে রেকর্ড ২০১ জনের মৃত্যু হয়। সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ডের দিনে খুলনা বিভাগে সর্বোচ্চ ৬৬ জন মারা গেছেন।

হিসাব অনুযায়ী—খুলনা বিভাগে প্রতি ঘণ্টায় মৃত্যুর হার ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ। একই সময়ে খুলনা বিভাগে ৫ হাজার ৭৯১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ৯০০ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৮০ শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুসারে—এক মাসের ব্যবধানে খুলনা বিভাগে ৭৮৪ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। আজ থেকে একমাস আগে গত ৭ জুন খুলনা বিভাগে একদিনে তিন জনের মৃত্যুসহ মোট মৃতের সংখ্যা ছিল মাত্র ৮১৯ জন। এক মাস পর আজ ৭ জুলাই একদিনে মৃতের সংখ্যা ৬৬ জন এবং মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬০৩ জন।

দেশে গত বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের ১৮ মার্চ প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়। গত ৭ জুন সারা দেশে মোট করোনায় মৃতের সংখ্যা ছিল ১২ হাজার ৮৬৯ জন। খুলনা বিভাগে মোট মৃতের সংখ্যা ছিল ৮১৯ জন। খুলনার পরই সম্প্রতি বেশি মৃত্যু হয়েছে রাজশাহী বিভাগে। গত ৭ জুন রাজশাহী বিভাগে মৃতের সংখ্যা ছিল ৭২৭ জন। এক মাস পর আজ ৭ জুলাই এ সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৭০ জনে।

অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে ৪৪৩ জনের। মৃতের হার ৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ হয়েছে। স্বাস্থ্য ও রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতের সীমান্ত দিয়ে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের কারণে খুলনা ও রাজশাহীসহ সারা দেশে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েছে।

সরকার করোনার ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ ও মৃত্যু রোধে গত ২৮ জুন থেকে বিধি-নিষেধ সাপেক্ষে ও ১ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্য়ন্ত কঠোর লকডাউনের নির্দেশনা জারি করেছে। তবুও কমছে না সংক্রমণ ও মৃত্যু। স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ২০১ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৫ হাজার ৫৯৩ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৩৫ হাজার ৬৩৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে ১১ হাজার ১৬২ জনের। এ নিয়ে দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৭৭ হাজার ৫৬৮ জনে। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হিসাবে শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৩২ শতাংশ।

২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন পাঁচ হাজার ৯৮৭ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা আট লাখ ৫০ হাজার ৫০২ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৮৭ শতাংশ।

Related posts

মোবাইল গেমসে আসক্তি, প্রাণ গেলো কিশোরের

News Desk

সারাদেশে সপ্তাহে এক কোটি মানুষকে টিকা দিবে সরকার

News Desk

হয়েছে বৃষ্টিও, তবু নদীর তীরের কারখানাটির আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে লাগলো ১৪ ঘণ্টা

News Desk

Leave a Comment