খুলনায় জাতীয় পার্টির অফিসে ফের হামলা ও লুট
বাংলাদেশ

খুলনায় জাতীয় পার্টির অফিসে ফের হামলা ও লুট

খুলনায় জাতীয় পার্টির অফিসে বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) আবারও হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে এ ঘটনার জন্য গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের দায়ী করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সময় নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে বলে জাতীয় পার্টির নেতাদের অভিযোগ।

বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে মহানগরীর ফেরিঘাট মোড় থেকে মিছিল নিয়ে তারা ডাকবাংলো মোড়ের জাপা অফিসে হামলা চালায়। গত ৩০ আগস্ট জাতীয় পার্টির অফিসে হামলা ও ভাঙচুর হয়।

জাতীয় পার্টির খুলনা মহানগর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে গণঅধিকার পরিষদের একটি মিছিল থেকে ডাকবাংলো মোড়ে মহানগর ও জেলা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা চালায়। এ সময় দলীয় নেতাকর্মী কেউই কার্যালয়ে ছিলেন না। হামলাকারীরা পরিকল্পিতভাবে সাইনবোর্ড, দরজা-জানালা, গ্রিল, চেয়ার, টেবিলসহ ভাঙচুর ও লুটপাট করে রিকশাযোগে নিয়ে যায়। এর কিছু সময় পর পুনরায় এসে ফের হামলা করে বাকি আসবাবপত্র, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র বাইরে নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ সময়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।’

গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক এস কে রাশেদ বলেন, ‘সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে বুধবার বিকালে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল করি। মিছিলটি ডাকবাংলো মোড়ে এলে নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময়ে জাপা নেতা জি এম কাদেরের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। দলীয় নেতাকর্মীরা লুটপাট করেনি। তবে বিক্ষুব্ধ জনতা ভাঙচুর করতে পারে। তারা আমাদের দলীয় লোক না।’

খুলনা সদর থানার ওসি হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম জানান, তারা জি এম কাদেরের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে। তবে ওই সময় পুলিশ সেখানে ছিল না। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।

Source link

Related posts

ঘাটে বাড়তি ভাড়া আদায়, ইজারাদারের বিরুদ্ধে যাত্রী হয়রানির অভিযোগ

News Desk

‘গরু নিয়ে সোজা ফেরিতে উঠেছি, ঘাটে কোনও ভোগান্তি নেই’

News Desk

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে অগ্নিকাণ্ডে দোকান-বাসা ভস্মীভূত

News Desk

Leave a Comment