পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বদলে গেলো কুমিল্লা নগরীর কেন্দ্রস্থল কান্দিরপাড়। এখন কান্দিরপাড়ে নেই কোনও যানজট। তাই স্বস্তিতে ঈদবাজার করে ঘরে ফিরছেন নগরবাসী।
নগরীর কান্দিরপাড় এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কান্দিরপাড়ের চারটি প্রবেশ পথের মধ্যে রামঘাটলা এলাকা, রাজগঞ্জ এলাকা ও নিউমার্কেট এলাকার তিনটি সড়ক এখন বন্ধ। এতে যানবাহন কান্দিরপাড়ের মোড়ে ঢুকতে পারে না। যে কারণে কান্দিরপাড় যানজটমুক্ত থাকে। নগরবাসীর হয়রানিও নেই।
জানা গেছে, কান্দিরপাড়কে কেন্দ্র করে কুমিল্লার সবচেয়ে বড় শপিংমলগুলো গড়ে উঠেছে। এতে ঈদের কেনাকাটা করতে গ্রামাঞ্চল থেকে মানুষ আসায় চাপ বাড়ে নগরীর এই কেন্দ্রস্থলে। যার কারণে বেড়ে যায় চুরি, ছিনতাই ও অপহরণ। এছাড়া যানবাহন ও মানুষের চাপে এই স্থানে ভিড় থাকতো সবসময়। কিন্তু এবার পুলিশের উদ্যোগে বদলে গেছে কান্দিরপাড়ের চিত্র। এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন নগরীর বাসিন্দারা।
নগরীর ঠাকুরপাড়া এলাকার বাসিন্দা ইকবাল মাহমুদ বলেন, অন্যান্য বছর ঈদের আগমুহূর্তে কান্দিরপাড়ে ঢোকা যেতো না। এবার যানজট নেই। তবে মানুষের চাপ বেশি। সড়কগুলো বন্ধ রাখলে মানুষ উপকৃত হবে।
স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বুড়িচং উপজেলা থেকে কেনাকাটা করতে এসেছেন ব্যাংক কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন। তিনি বলেন, আমি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করি। অফিস শেষ করে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে বেরিয়েছি। আগের বছরগুলাতে কান্দিরপাড় ও আশপাশের এলাকার অবস্থা খুব খারাপ থাকতো। কিন্তু এবারের চিত্র ভিন্ন। খুবই শান্তিপূর্ণভাবে শপিং শেষ করে বাড়ি ফিরছি।
নগরীর নিউমার্কেট শপিংমলের তাজ ফ্যাশনের মালিক সাইফুল ইসলাম বলেন, এবার যানজট না থাকায় স্বস্তিতে মানুষ কেনাকাটা করছে। ক্রেতাও বেড়েছে। গত দুই বছরে করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি আমরা।
কুমিল্লা জেলা ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ রাসেল ভূঁইয়া বলেন, পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় মানুষের ঈদ কেনাকাটা নির্বিঘ্ন করতে এমন উদ্যোগ নিয়েছি আমরা। গত দুই বছর মানুষ ঈদের কেনাকাটা তেমন একটা করতে পারেনি। তাই এবার মানুষের চাপ বেশি। এ সুযোগে চুরি-ছিনতাই বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। আমরা আগেই এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি।
তিনি বলেন, যদি কেউ ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে আসে তাহলে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা আছে টাউনহলে। এছাড়া অ্যাম্বুলেন্স ও মালবাহী গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। আমরা ঈদ শেষ হওয়া পর্যন্ত এভাবে সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে রাখবো।