Image default
বাংলাদেশ

আজ মেজর আমজাদ চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী

বাংলাদেশের কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পের পথিকৃৎ ও প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মেজর জেনারেল (অব.) আমজাদ খান চৌধুরীর ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই)। ২০১৫ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

আমজাদ খান চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে প্রাণ সেন্টারে ভার্চুয়ালি বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আমজাদ খান চৌধুরীর জন্ম ১৯৩৯ সালের ১০ নভেম্বর। তিনি নাটোর জেলার সম্ভ্রান্ত চৌধুরী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মরহুম আলী কাশেম খান চৌধুরী, মা মরহুমা আমাতুর রহমান। আমজাদ খান চৌধুরীর সন্তানরা হলেন- আজার খান চৌধুরী, ডা. সেরা হক, আহসান খান চৌধুরী এবং উজমা চৌধুরী।

ঢাকার নবকুমার ইনস্টিটিউট থেকে শিক্ষাজীবন শুরু তার। ১৯৫৬ সালে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। পরবর্তীতে অস্ট্রেলিয়ান স্টাফ কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। কর্মজীবনে তিনি সেনাবাহিনীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। আমজাদ খান চৌধুরী ১৯৮১ সালে মেজর জেনারেল হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণের পর রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড (আরএফএল) প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের যাত্রা শুরু করেন তিনি। তার গড়া প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ বর্তমানে দেশের শীর্ষস্থানীয় খাদ্য ও গৃহস্থালি পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। এই গ্রুপে বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন প্রায় এক লাখ ১৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। বিশ্বের ১৪৩টি দেশে নিয়মিত রফতানি হচ্ছে প্রাণ-আরএফএল-এর পণ্য।

বহুগুণে গুণান্বিত আমজাদ খান চৌধুরী বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যিক সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই), ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (আইডিসিএল), বাংলাদেশ ডেইরি অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সংগঠনের সভাপতি, পরিচালকসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এছাড়া তিনি আবাসন খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব), বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন (বাপা), আন্ডারপ্রিভিলেজড চিলড্রেন্স এডুকেশন প্রোগ্রাম (ইউসেপ)-এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।

দেশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে তিনি দেশের বেসরকারি খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। কৃষি ও কৃষিজাত পণ্যের বহুমুখী ব্যবহার এবং এ শিল্পের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে তিনি অগ্রণী ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে তার অবদান মনে রাখবে সবাই। আর দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তার প্রচেষ্টা দেশের ব্যবসায় ক্ষেত্রে এনে দিয়েছে ব্যাপক সমৃদ্ধি।

Related posts

মুজিববাদী ৭২-এর সংবিধানকে টিকিয়ে রাখতে চাচ্ছে বিএনপি: পটুয়াখালীতে নাহিদ

News Desk

মহাসড়কে নেই গণপরিবহন, ভোগান্তিতে সাধারণ যাত্রীরা

News Desk

একরাম হত্যা মামলা: ৪ বছরেও হয়নি আপিলের নিষ্পত্তি

News Desk

Leave a Comment