অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে ময়মনসিংহের ৩০টি বধ্যভূমি-গণকবর
বাংলাদেশ

অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে ময়মনসিংহের ৩০টি বধ্যভূমি-গণকবর

অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে ময়মনসিংহের বধ্যভূমি ও গণকবরগুলো। ভাঙাচোরা কাঠামো নিয়ে কোনোমতে দাঁড়িয়ে আছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মুক্তিযোদ্ধারা বলছেন, এসব দেখার কেউ নেই।  

মুক্তিযোদ্ধারা জানিয়েছেন, সারাদেশের মতো ময়মনসিংহে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের দোসর শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদর, আলশামস হত্যাযজ্ঞ চালায়। স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত ময়মনসিংহে অর্ধশত বধ্যভূমি ও গণকবরের সন্ধান মিলেছে। তবে এর মধ্যে ৩০টির বেশি বধ্যভূমি সংরক্ষণ করে শহীদদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ ও স্মৃতিফলক করা হয়েছে। কিন্তু এগুলো দেখভাল না করায় অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে।

সার্কিট হাউজ মাঠ সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র পাড়ের বধ্যভূমি

সার্কিট হাউজ মাঠ সংলগ্ন এই বধ্যভূমিতে মুক্তিযোদ্ধাসহ নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময়ে সার্কিট হাউজ ছিল মার্শাল ল অ্যাডমিনিস্ট্রেটর সেক্টর সেভেন। এর প্রধান লে. কর্নেল আমির মোহাম্মদ খান সার্কিট হাউজে বসে বিচার করে রায় দিতো এবং যাদের সাজা হতো তাদের মৃত্যু পরোয়ানা জারি হতো। পরে ব্রহ্মপুত্র পাড়ে দাঁড় করিয়ে চোখ বেঁধে গুলি করে হত্যা করা হতো। এই বধ্যভূমিটি নামমাত্র স্মৃতিস্তম্ভ করা হলেও নেই কোনও যত্ন। এটির চারপাশ স্থানীয় দোকানিদের দখলে। 

নগরের বড়কালীবাড়ি ডাকবাংলো বধ্যভূমি

ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের ডাকবাংলোকে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ও রাজাকার আলবদররা নির্যাতন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করতো। এখানে অসংখ্য সাধারণ মানুষ নির্যাতন ও হত্যার শিকার হন। ১৯৭১-এর এপ্রিলে ময়মনসিংহ শহর হানাদার বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে গেলে ডাকবাংলোকে জেলা শান্তি কমিটির কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হয়। জেলা শান্তি কমিটির সভাপতি ও নেজামে ইসলামী দলের ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রধান ফয়জুর রহমান, তার ছেলে তৈয়ুবুর রহমান, ইসলামী ছাত্রসংঘের মোমেনশাহীর প্রেসিডেন্ট মো. আশরাফ হোসেন, সেক্রেটারি মো. কামারুজ্জামানের আস্তানায় পরিণত হয়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুক্তিযোদ্ধাসহ নিরীহ নারী-পুরুষকে ধরে এনে এখানে নির্যাতন শেষে কাঠের ওপরে রেখে জবাই করা হতো। 

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, এখানে ডাকবাংলোর পাশে দুটি কুয়া ছিল। ময়মনসিংহ মুক্ত হওয়ার পর ওই দুই কুয়া নারী-পুরুষের লাশে ভর্তি ছিল। পাঁচ শতাধিক হত্যাকাণ্ড এখানে ঘটেছে। বর্তমানে এই বধ্যভূমি একেবারেই অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে। নগরের কেন্দ্রবিন্দুতে হলেও দীর্ঘ কয়েক বছরেও এটির আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়নি। বধ্যভূমির স্মৃতিফলকটি হেলে পড়েছে। চারপাশে গাছপালায় ঘিরে গেছে। 

ডাকবাংলোর পেছনে ব্রহ্মপুত্র পাড়ের বধভূমি

নগরের ডাকবাংলো ছিল পাকিস্তান হানাদার বাহিনী, শান্তি কমিটি ও আলবদরের হেডকোয়ার্টার। মুক্তিযোদ্ধাসহ নিরীহ নারী-পুরুষকে ধরে এনে এই ক্যাম্পে নির্যাতন শেষে চোখ বেঁধে নদের পাড়ে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করা হতো। স্বাধীনতার পর নদের পাশে অসংখ্য কঙ্কাল ও মাথার খুলি পাওয়া গেছে। এখানে শহীদদের স্মরণে স্মৃতিফলক করা হয়। তবে এর আশপাশের জায়গা দখলে রেখেছে প্রভাবশালীরা।  

ছোটবাজার বধ্যভূমি

নগরের ছোটবাজার ও নিউ মার্কেট এলাকায় হিন্দুদের টিনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়ি দখলে নিয়ে হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা টর্চার সেল গড়ে তোলে। টর্চার সেলে মুক্তিযোদ্ধাসহ নিরীহ নারী-পুরুষকে ধরে এনে নির্যাতন শেষে হত্যা করা হয়। পরে লাশ পাশে থাকা কুয়ায় ফেলে দেয়। স্বাধীনতার পর ওই টর্চার সেল ও কুয়া থেকে নারীদের জামাকাপড়, জুতা, কঙ্কাল ও মাথার খুলি উদ্ধার করা হয়। 

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষক বিমল পাল জানান, বধ্যভূমির কুয়ার ওপর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ইসলামী ব্যাংকের বহুতল ভবন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ওই জায়গায় বধ্যভূমির সাইনবোর্ড টানানো হয়। এরপর আর বধ্যভূমিটি সংরক্ষণ করা হয়নি। ওই অবস্থায় পড়ে আছে।

বধ্যভূমির সেই কুয়ার ওপর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ইসলামী ব্যাংকের বহুতল ভবন

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বধ্যভূমি

৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময় হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা শিক্ষক-ছাত্র, কর্মচারী এবং সাধারণ মানুষকে ধরে আনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। হানাদার বাহিনীর ৯৩ ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার আব্দুল কাদির খান সেখানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকদের হত্যা করে ব্রহ্মপুত্র নদে লাশ ভাসিয়ে দিতো। শহীদদের স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেস্টহাউজ সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র পাড়ে বধ্যভূমি হিসেবে স্মৃতিফলক নির্মাণ করা হয়। শহীদদের মধ্যে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক এবিএম আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়া, নাজমুল আহসান বীরপ্রতীক (৫ম বর্ষের ছাত্র), জামাল হোসেন (ছাত্র), আক্কাছ আলী (কর্মচারী), নাজির আক্তার কাশেম (ছাত্র), আব্দুল মতিন খন্দকার টিপু (ছাত্র), হাবিবুর রহমান (ছাত্র), আবুল কাশেম (ছাত্র), খুরশিদ আল (ছাত্র), শামসুল হক (ছাত্র), নুরুল হক (কর্মচারী), কাজী মো. মঞ্জুর হোসেন (ছাত্র) ও গাজী ওয়াহিদুজ্জমান (কর্মচারী) প্রমুখ। 

কেওয়াটখালি রেলওয়ে কলোনি বধ্যভূমি ও গণকবর

ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার পূর্ব দিকে অবস্থিত কেওয়াটখালি রেলওয়ে কলোনি বধ্যভূমি ও গণকবর। এটি ছিল মূলত একটি বিহারি অধ্যুষিত স্থান। রাজাকার, আলবদর, আলশামস বিহারিদের সহায়তায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকদের ধরে এনে এই কলোনিতে নির্যাতনের পর হত্যা করেছিল। ৭১-এর ৩০ নভেম্বর গৌরীপুর থানার পলাশকান্দা গ্রামে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে পাঁচ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। তখন মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ, মঞ্জুসহ বেশ কিছু গ্রামবাসীকে ধরে আনা হয় কলোনিতে। তাদের হত্যার জন্য পাকিস্তানি বাহিনী ও আলশামস বিহারিদের হাতে তুলে দেয়। তাদের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার জন্য হাত-পা ও চোখ বেঁধে নির্যাতন করা হয়। কারও কারও আঙুল, কান ও শরীরের অঙ্গপ্রতঙ্গ কাটা হয়। কয়েকজনের চোখ তুলে নেওয়া হয়। পরে তাদের হত্যা করা হয়েছিল বলে জানান স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষক বিমল পাল। তিনি বলেন, এখান থেকে অসংখ্য মানুষের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। এই বধ্যভূমি ও গণকবর চিহ্নিত করা গেলেও এখনও সংরক্ষণ করা হয়নি। 

ফুলপুরের সরচাপুর ঘাট বধ্যভূমি

হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাসহ নিরীহ নারী-পুরুষকে ধরে এনে নির্যাতন শেষে সরচাপুর ঘাটে হত্যা করেছিল। এখানে অগণিত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। বীর শহীদদের স্মরণে এই ঘাটের পাশে এখানে একটি স্মৃতিফলক করা হয়েছে। সেটি অবহেলায় পড়ে আছে। 

হালুয়াঘাটের গাঙ্গিনা নদীর ঘাট বধ্যভূমি

হানাদার বাহিনী বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষকে ধরে এনে নির্যাতন শেষে এই ঘাটে হত্যা করেছিল। এখানে অনেক মানুষকে হত্যা করা হয়। শহীদদের স্মরণে ঘাটের পাশে এখানে একটি স্মৃতিফলক করা হয়েছে। নামমাত্র স্মৃতিফলকটি পড়ে আছে। চারপাশ বনজঙ্গলে ঘিরে আছে।  

  অযত্ন অবহেলায় পড়ে আছে মুক্তাগাছার কাতলসা গ্রামের বধ্যভূমি

হালুয়াঘাট তেলিখালী গণকবর

৩ নভেম্বর হালুয়াঘাট সীমান্তে পাকিস্তানি সেনাদের তেলিখালী ক্যাম্প দখলে নিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাসহ ১২৪ রাজাকার ও ২৩৩ আলবদরকে হত্যা করেন মুক্তিযোদ্ধারা। মাত্র ৫ ঘণ্টার এই যুদ্ধে আট জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনীর ২১ জন সদস্য শহীদ হন। এই বীর শহীদদের তেলিখালীতে একসঙ্গে গণকবর দেওয়া হয়। শহীদদের স্মরেণ এখানে একটি স্মৃতিফলক নির্মাণ করা হয়। সেটিও অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে।

ফুলবাড়ীয়ার আখালিয়া নদীর ঘাটে বধ্যভূমি

হানাদার বাহিনী, রাজাকার, আলবদর ও আলশামস মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাসহ নিরীহ নারী-পুরুষকে ধরে এনে নির্যাতন শেষে এই ঘাটে হত্যা করেছিল। এখানে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হয়। বীর শহীদদের স্মরণে এখানে ঘাটের পাশে একটি স্মৃতিফলক করা হয়েছে। এটির চারপাশ বনজঙ্গলে ঘিরে আছে। অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে।

ভালুকা কাচিনা বধ্যভূমি

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আশপাশের এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাসহ নিরীহ মানুষকে ধরে এনে নির্যাতন শেষে কাচিনা গ্রামে হত্যা করেছিল। তাদের স্মরণে এই ঘাটের পাশে স্মৃতিফলক করা হয়েছে। অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে। ময়লা-আবর্জনা ও আগাছায় ভরে গেছে চার পাশ।

গফরগাঁও লঞ্চঘাট বধ্যভূমি

মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাসহ নিরীহ মানুষকে ধরে এনে নির্যাতন শেষে এই লঞ্চঘাটে হত্যা করা হয়। বীর শহীদদের স্মরণে এই ঘাটের পাশে একটি স্মৃতিফলক করা হয়েছে। সেটি অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে।  

গফরগাঁও ত্রিমোহনী বধ্যভূমি

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাসহ নিরীহ মানুষকে ধরে এনে নির্যাতন শেষে ত্রিমোহনীতে হত্যা করা হয়েছিল। বীর শহীদদের স্মরণে ত্রিমোহীতে একটি স্মৃতিফলক করা হলেও এত বছরেও সংরক্ষণ করা হয়নি।  

নান্দাইলের আচারগাঁও বধ্যভূমি

আশপাশের এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাসহ সাধারণ মানুষকে ধরে এনে নির্যাতন শেষে এই গ্রামে হত্যা করা হয়। এখানে অসংখ্য মানুষের কঙ্কাল পাওয়া গেছে। তাদের স্মরণে এখানেও একটি স্মৃতিফলক করা হয়েছে।  

কেওয়াটখালি রেলওয়ে কলোনি বধ্যভূমি ও গণকবর

মুক্তাগাছা কাতলসা গ্রামের বধ্যভূমি

হানাদার বাহিনী মুক্তাগাছার কাতলাসা গ্রামে হত্যাযজ্ঞ চালায়। এখানে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করে বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়। অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারান। তাদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ করা হয়েছে। এটি একেবারেই অবহেলিত অবস্থায় পড়ে আছে। 

মুক্তাগাছার দড়িকৃষ্ণপুর গ্রামের বধ্যভূমি

দড়িকৃষ্ণপুর গ্রামের শহীদ পরিবারের সন্তান গুলিবিদ্ধ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জবান আলী (৭৫) বলেন, ১৯৭১ সালের ২ আগস্ট হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা আমাদের গ্রামে আক্রমণ করে। আমার পরিবারের সাত জনসহ ১৮ জনকে হত্যা করা হয়। কয়েক বছর আগে বধ্যভূমি শনাক্ত করে সেখানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। অথচ সেই স্মৃতিস্তম্ভে শহীদদের কারও নামের তালিকা বসানো হয়নি। 

মুক্তাগাছার বিনোদবাড়ি মানকোন গ্রামের বধ্যভূমি

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ২ আগস্ট সোমবার স্থানীয় রাজাকার ও আলবদরদের সহায়তায় হানাদার বাহিনী মুক্তাগাছার গোটা বিনোদবাড়ি মানকোন গ্রামে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে নারী-শিশু ও হিন্দু পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে। পর অগ্নিসংযোগ করে গ্রামের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়। একাত্তরে এটিই ছিল একদিনে মুক্তাগাছায় সবচেয়ে বড় গণহত্যার ঘটনা। মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি, ওই দিনে হত্যা করা হয় ২৫৩ জনকে।

শহীদদের তেলিখালীতে একসঙ্গে গণকবর দেওয়া হয়। শহীদদের স্মরেণ এখানে একটি স্মৃতিফলক নির্মাণ করা হয়

স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও গণকবর ও বধ্যভূমি রাষ্ট্রীয়ভাবে সংরক্ষণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ময়মনসিংহ জেলায় ৩০টির ওপরে বধ্যভূমি চিহ্নিত করা হয়েছে। পরে আরও কিছু বধ্যভূমি ও গণকবর চিহ্নিত করা হলেও তা রাষ্ট্রীয়ভাবে সংরক্ষণ করা হয়নি। আবার সংরক্ষণ করা কিছু বধ্যভূমি ও গণকবর একেবারেই অযত্নে পড়ে আছে। এসবের দিকে স্থানীয় প্রশাসনের তেমন কোনও খেয়াল নেই।’ 

জেলার বধ্যভূমি ও গণকবরগুলো দেখভালসহ উন্নয়নে দায়িত্ব পালন করে থাকে জিলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কবির হোসেন সরদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি সম্প্রতি জেলা পরিষদে যোগ দিয়েছি। এখনও বধ্যভূমি ও গণকবরগুলো সম্পর্কে তেমন কোনও ধারণা নেই। তবে বধ্যভূমি ও গণকবরগুলোর সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে উদ্যোগ নেবো।’

Source link

Related posts

একাত্মতা প্রকাশ করে ইবি শিক্ষিকা বললেন ‘যৌক্তিক আন্দোলনে তোমাদের সঙ্গে আছি’

News Desk

মনোনয়নপত্র দাখিল অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, আহত ৫

News Desk

‘লকডাউন’ বাড়তে পারে আরও এক সপ্তাহ : মন্ত্রিপরিষদ

News Desk

Leave a Comment